ন্যাভিগেশন মেনু

সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোন কিট ব্যবহার নয়


সরকারের অনুমোদনহীন কোনো কিট দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।শনিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানানো হয়।

মিডিয়া সেলের মূল ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো হাবিবুর রহমান খান ব্রিফিংয়ে মিডিয়া সেল গঠনের কারণ ও কমিটির কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এদিকে বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদনহীন টেস্টিং কিট রয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে মো হাবিবুর রহমান খান বলেন, ‘সরকারের অনুমোদনহীন কোন কিট গ্রহণযোগ্য হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী ও সরকারিভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অনুমোদিত কিটেসের মাধ্যমেই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে।

মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জানান, করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী সব হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মনিটরিংয়ের জন্য বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের ৪৪ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন ।

করোনা মোকাবিলায় নতুন আরও দুই হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম রীনা পারভীন, যুগ্মসচিব নিলুফার নাজনীন ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী বিজনকুমার শীল ও তাঁর দল করোনা শনাক্তকরণে র্যা পিড টেস্ট কিট তৈরি করেছেন। 

শুক্রবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লা চৌধুরি দাবি করেন, তাঁদের তৈরি করোনা কিট ১০০ শতাংশ সফল। 

সরকারের কাছ থেকে এই কিট সবুজ সংকেত পেলে, কোভিড-১৯ ডট ব্লট প্রকল্পের আওতায় প্রথম দফায় ১ লক্ষ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

তাদের তৈরি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে উদ্ভাবিত কিট অনুমোদনের জন্য শনিবার সরকারের কাছে হস্তান্তর করে। শনিবার ঢাকার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। 

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন সংস্থা সিডিসি’র কাছে কিট হস্তান্তর করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা। 

এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কিট পরীক্ষা ও মতামতের জন্য নমুনা পাঠানো হবে। গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমরা আশা করছি সরকার এ কিট যাচাই বাছাই করে খুব দ্রুত অনুমোদন দেবে। 

অনুমোদন প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন শুরু করবো। পর্যায়ক্রমে এক লাখ কিট দেওয়া সম্ভব হবে।’ এর আগে ১১ এপ্রিল কিট হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। 

কিন্তু বৈদ্যুতিক বিপর্যয়ের কারণে কিট উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়।  কিটটি কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা ১৫ মিনিটে নির্ণয়ে সক্ষম। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা পর এই কিটটি তা শনাক্ত করতে পারবে বলে দাবি করা হয়।

এস এস