সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ। গত ৪৮ ঘণ্টায় এমন অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১৮ জন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়, বাড়িতে বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থেকে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা করোনায় মৃত্যুর চেয়ে বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে এসব মরদেহ দাফনে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বজনদের।এদিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের হিসাব থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৯৩০ জন, যা ২০১৯ সালে ছিল মাত্র ৮২০ জন, ২০১৮ সালে ১ হাজার ১০ জন।
বৈশ্বিক করোনাভাইরাসে এক দিনে আরও তিনজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০ জন।
শনিবার বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৫৮ জনের মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৮২ জন।
গত এক দিনে আরও তিনজন সুস্থ হয়ে ওঠায় এ পর্যন্ত মোট ৩৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন।
করোনার বিস্তার সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ঢাকায়। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নারায়ণগঞ্জ। আক্রান্তদের ৫২ শতাংশই ঢাকাবাসী। ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় রয়েছে ৩৫ শতাংশ আক্রান্ত। বাকিরা অন্যান্য বিভাগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় যে ৫৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩১-৪০ বছর বয়সী।
আক্রান্তদের শতকরা ৭০ ভাগ পুরুষ, আর বাকি ৩০ ভাগ নারী। তিনি আরো জানান, গত চব্বিশ ঘণ্টায় যে তিনজন মারা গেছেন তাদের একজন ঢাকার। বাকি দুজন অন্য জেলার।
এস এস