সিজন চেঞ্জ হলেই আমাদের অনেকেই নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। বিশেষ করে শতি ও বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে ঠান্ডা ও ফ্লুর ভয় বহুগুণে বেড়ে যায়।
ঠান্ডা এবং ফ্লু ভাইরাসজনিত কারণে হয় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাকে প্রভাবিত করে। এর সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, জ্বর, সর্দি বা নাক বন্ধ, শরীরের ব্যথা, কাশি এবং হাঁচি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্ষার সময়ে যারা অসুস্থতার জন্য ছুটি নেন, তাদের ৪০ শতাংশই ঠান্ডা এবং ফ্লুতে ভোগেন।
যদি আপনি যদি খুব অসুস্থ বোধ করেন তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন। সমস্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে মনে হলে নিতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসা। এগুলো সর্দি এবং ফ্লু তাড়াতে বেশ কার্যকরী।
মধু এবং মশলা:
মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মধু, গোল মরিচ এবং আদার রস মিশিয়ে খেলে গলাব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। গলাব্যথা প্রশমিত করতে প্রতিদিন এক চামচ মধু খেতে পারেন।
হলুদ দুধ এবং ঘি:
আমরা সবাই জানি, হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঘি দিয়ে দুধে সেদ্ধ করা হলুদ ঠান্ডা ও ফ্লুর লক্ষণ থেকে মুক্তি দেয়। সর্বাধিক উপকার পাওয়ার জন্য রাতে ঘুমানোর আগে এটি পান করুন।
রসুন:
রসুন প্রায় সব ধরণের খাবারেই ব্যবহৃত হয়। এটি চিকিৎসার কাজেও যুগে যুগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি বেশ কয়েকটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সহ প্রায় একশোটি সক্রিয় রাসায়নিক যৌগে ভরা।
আপনার শ্বাসকষ্ট হলে রসুন সেদ্ধ করে নিন। টনসিলাইটিসের জন্য ভিনেগার মিশ্রিত রসুন মিশিয়ে তারপরে গার্গল করুন। মাথাব্যথার জন্য, আপনি কপালে রসুন ঘষতে পারেন। এতে সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।
লেবু দিয়ে মধু:
লেবু ও মধু মিশ্রিত সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দুর্দান্ত। এটি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এবং ঠান্ডা এবং ফ্লুর লক্ষণগুলো থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে।
কাধা:
কাধা হলো ভেষজ এবং মশলার মিশ্রণ যা দারুচিনি, লবঙ্গ, কাঁচামরিচ, ঘি, আদা, তুলসি এবং রসুন দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি সর্দি ও ফ্লু সারাতে বেশ উপকারী।
এস এস