ন্যাভিগেশন মেনু

সলিমুল্লাহ মেডিকেলের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা


রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. নূরুল হুদা লেনিন।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিসেস এন্ড ইউরোলজির পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রেজিস্ট্রার এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের সহকারি অধ্যাপক ছিলেন তিনি।  

অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় নূরুল হুদা লেনিন দৈনিক বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, ‘সরকার আমাকে যখন যেখানে দায়িত্ব দিয়েছে সেখানেই আমি সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করেছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে চিকিৎসা সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চাই।’

“ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিসেস এন্ড ইউরোলজির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রতিষ্ঠানটির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেখানকার চিকিৎসা সেবার মান বেড়েছে বহুগুন। যার ফলে ইন্সটিটিউটটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরিপে সেবার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। একইভাবে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া এই প্রতিষ্ঠানেরই সাবেক ছাত্র হওয়ায় আমার দায়িত্ব আরও অনেক বেড়ে গেছে,” যোগ করেন তিনি। 

নূরুল হুদা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মান সম্পন্ন পড়ালেখার পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধিসহ প্রতিষ্টানের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাব। সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ যাতে দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয় সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমার। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’

গোপালগঞ্জের সুলতানশাহী গ্রামের আদর্শ শিক্ষক মরহুম মো. আব্দুল খালেক মোল্লা ও মোছা. হোমেরা বেগমের ছেলে নুরুল হুদা লেলিন। ১৯৮১ সালে এসএসসি এবং ১৯৮৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন লেলিন। এসবিবিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় পঞ্চম অধিকার করেন তিনি। এরপর ১১ তম বিসিএস এ কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ন হয়ে মোকসেদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন লেলিন।

ওআ/