ন্যাভিগেশন মেনু

সাকিবের নৈপুণ্যে সিরিজ জিতল টাইগাররা


হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে হারের শঙ্কা দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে সাকিব আল হাসানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি ৩ উইকেটে জিতেছে টাইগাররা। এই জয়ে একই সঙ্গে সিরিজও নিশ্চিত করেছে তামিম ইকবালের দল।

রবিবার (১৮ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় জিম্বাবুয়ে। শুরুতেই তাসকিন-মিরাজের জোড়া আঘাতে বিধ্বস্ত হয় জিম্বাবুয়ে। তবে শুরুর সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে স্বাগতিকরা।

শেষ পর্যন্ত শরীফুলের ৪ উইকেটে জিম্বাবুয়ের মাঝারি স্কোর দাঁড়ায়। নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৪০ রান।

এ দিন দলের জন্য একাই লড়াই করে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৯৬ রানে অপারাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ে। এছড়া সাইফুউদ্দিন খেলেন ২৮ রানের অপারাজিত ইনিংস।

জিম্বাবুয়ের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুবই খারপ হয় বাংলাদেশের। ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ১১ রান যোগ করতে আরও ২ উইকেট হারিয় বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল তামিম ইকবালকে দিয়ে। এরপর লিটন ও মিঠুন তার দেখানো পথ হাঁটেন। ১৪ ওভারে তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৫০।

লুক জংওয়ের অফস্টাম্পের বাইরের বল চালাতে গিয়ে পয়েন্টে মাধবেরের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন মিঠুন। প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করা মিঠুন দ্বিতীয় ম্যাচেও হতাশ করলেন। আর সুযোগ পাবেন কী তিনি? এই প্রশ্নটা থেকেই যায়। ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর যখন বাংলাদেশ ধুঁকছে তখন ক্রিজে সাকিবের সাথে দারুণ জুটি করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই ভেঙে গেল ২৫ রানে। নিজের ভুলে মোসাদ্দেক রান আউট হয়ে ফিরে সাজঘরে।

রিচার্ড এনগাবারার বল যায় উইকেটরক্ষক চাকাবার হাতে। বল ঠিকমতো গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি চাকাবা। ওই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে মোসাদ্দেক ১ রান নেওয়ার জন্য ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকাবা দ্রুত রিকোভার করে সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভাঙেন। আউট হওয়ার আগে করে ৯ বলে ৫ রান। ৭৫ রানে বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ। এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল করে। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ৩৫ বলে ২৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন রিয়াদ।

টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন তখন একাই লড়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিপর্যয়ের মাঝে সাকিব তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি। তার ফিফিটির পর সাজঘরে ফিরে মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি অফস্পিনার মাধভেরের বল সুইপ করে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু মাঠের সবচেয়ে বড় দিক টার্গেট করে বিপদ ডেকে আনলেন তিনি। তার এলোমেলো শট সোজা যায় ডিয়োন মায়ার্সের হাতে। দলকে বিপদে ফেলে মিরাজ আউট হলেন ৬ রানে। এরপর খুব দ্রুত ফিরে যায় আফিফ। শেষ দিকে সাকিব ও সাইফুউদ্দিনের ব্যাটে ৩ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

জিম্বাবুয়ে: ২৪০/৯ (৫০ ওভার) বাংলাদেশ: ২৪২/৭ (৪৯.১ ওভার)

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেন, সাইফউদ্দিন, মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: টিনাশে কামুনহুকোয়ামে, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, রেজিস চাকাবভা, ব্রেন্ডন টেইলর, ডিও মায়ার্স, সিকান্দার রাজা, ওয়েসলি মাধেভেরে, লুক জঙ্গওয়ে, টেন্ডাই চাটারা, ব্লেসিং মুজারাবানি ও রিচার্ড এনগারাভা।

ওআ/