ন্যাভিগেশন মেনু

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে সুস্পষ্ট লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ শেষে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহে আজও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্ত।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি ভারতের উত্তর উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে শক্তি হারাতে পারে। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় ১১ জেলা ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বরগুনা, পটুয়াাখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষীপুর ও চট্টগ্রাম এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল বায়ূ তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। এর নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

তিনি জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিন্মচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি সোমবার সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

সিবি/এডিবি/