ন্যাভিগেশন মেনু

সাতক্ষীরায় পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি


সাতক্ষীরায় চাহিদা অনুযায়ি পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে ১৭ হাজার মেট্রিকটন।

চলতি বছর সাতক্ষীরায় ৬০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলায় মূলত পেঁয়াজের আবাদ হয়।

অন্যান্য উপজেলা, যেমন - শ্যামনগর, দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও আশাশুনির কিছু জায়গায়ও পেঁয়াজের আবাদ লক্ষ্য করা যায়।

সাতক্ষীরা কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৬০০ হেক্টর জমি পেঁয়াজ আবাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার মেট্রিকটন। চাষিরা হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করে ১২ থেকে ১৩ মেট্রিকটন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারবে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।  

সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া ও তালা উপজেলার কৃষক বদরুল ইসলাম, মোকছেদ আলী ও মোঃ ইকবাল জানান, এ বছর পেঁয়াজের বীজের মূল্য দ্বিগুন। গত বছর এক কেজি বীজ কিনতে খরচ হয়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা সেখানে চলতি বছর এক কেজি বীজ কিনতে খরচ হয়েছে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। দিন দিন উৎপাদনের খরচ বৃদ্ধিতে আমাদের লভ্যাংশ কমে যাচ্ছে। আমরা পেঁয়াজের নায্য মুল্য পাইনা।

কৃষকরা আরও জানান, আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যখন পেঁয়াজ আসে তখন পেঁয়াজের দাম অনেক কমে যায়। তখন আমাদের ক্ষতি হলেও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়। যার ফলে খরচের টাকা ঘরে আশা কষ্ট হয়ে যায়। অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদনে সরকার যেভাবে সহযোগীতা করে তদ্রুপ পেঁয়াজ উৎপাদনে সরকারি সহযোগীতা পেলে এ ঘাটতি পোষানো সম্ভব।

সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, এ বছর বীজের দাম অনেক বেশী যার ফলে অনেক কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ানোর। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুব শিঘ্রই ক্রীম প্রকল্প আসছে তখন এতো ঘাটতি থাকবে না।

এমআরএফ/ ওয়াই এ/এডিবি