সাতক্ষীরার কলারোয়ায় জনি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা, দাদা রিয়াজউদ্দীন ও একই গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। তবে মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা পলাতক।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের আদম বেপারী নামে পরিচিত কামরুল ইসলামের দশম শ্রেণিতে পড়ূয়া মেয়ে ময়না খাতুনের (১৬) সঙ্গে একই গ্রামের বজলুর রহমান শেখের ছেলে জনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেই সূত্র ধরে বুধবার গভীর রাতে মেয়েটির সঙ্গে ওই ছেলেটি মোবাইল ফোনে কথা বলছিল। এ সময় কামরুল পাশের ঘর থেকে বুঝতে পারেন, তার মেয়ে মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছে।
পরে ওই রাতে তারা ময়নাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে, কার সঙ্গে সে মোবাইলে কথা বলছিল। প্রথমে অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে মেয়েটি জনির নাম উল্লেখ করে বলে, তাকে প্রায়ই মোবাইল ফোনে সে বিরক্ত করে।
পরে কামরুল বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান। সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ময়নাকে দিয়ে ওই রাতেই ছেলেটিকে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে বেদম মারধর করে হাত-পা ভাঙাসহ মাথা থেঁতলে দেয়।
এরপর প্রেমিক জনির অভিভাবকরা জানতে পেরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া হাসপাতালে, পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে জনি মারা যায়।
এস এস
