ন্যাভিগেশন মেনু

সাবরিনার দ্বৈত এনআইডি: ইসির মামলার প্রতিবেদন ২ নভেম্বর


প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ায় অভিযোগে জেকেজি'র চেয়ারম্যান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহিষ্কৃত চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের এ দিন ধার্য করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে সাবরিনার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সাইফুজ্জামান (তুহিন)। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষে সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।

এ সময় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডা. সাবরিনার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।

মামলার এজহারের তথ্য অনুযায়ি, ‘সাবরিনা ২০০৯ সালে হালনাগাদের সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ভোটার হন। সেই এনআইডিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন, মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন, স্বামী আর এইচ হক, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮, পেশা সরকারি চাকরি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।’

তার দ্বিতীয় এনআইডির নিবন্ধন হয়েছে ২০১৬ সালে, ‘সেখানে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন, মায়ের নাম জেসমিন হুসেন, স্বামী আরিফুল চৌধুরী, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩, পেশা চিকিৎসক এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বাড্ডার আনোয়ারা ল্যান্ডমার্ক, ঢাকা।’

তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই বর্তমানে সচল।  জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয় সাবরীনা।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াই এ/ এডিবি