ন্যাভিগেশন মেনু

সাবরিনা-আরিফসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ ২৮ সেপ্টেম্বর


করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেকেজির চেয়াম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও  সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী এ দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এ দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন জব্দ তালিকার সাক্ষী রফিকুল ইসলাম। সাক্ষ্য শেষে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এরপর বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৮ সেপ্টম্বর দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৪২ সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

মামলা অপর আসামিরা হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার সহযোগী সাঈদ চৌধুরী, জালিয়াত চক্রের হোতা হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ।

গত ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা সনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিতে গত ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়।

গত ১৫ জুন তেজগাঁও থানায় কামাল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী ভুয়া কভিড-১৯ রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রথমে আরিফ ও পরে সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২৩ জুন পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের গ্রেপ্তার করে।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ওয়াই এ/এডিবি