ন্যাভিগেশন মেনু

সাভারে নীলা হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্ত সাকিব গ্রেপ্তার


অবশেষে দীর্ঘ চার মাস পর সাভারের চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষার্থী নীলা রায়  হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আসামী সাকিব হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাভারের পৌর এলাকা মধ্যপাড়ার নিজ বাসা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে আজকের বাংলাদেশকে পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্স) নির্মল কুমার দাস।

গ্রেপ্তারকৃত সকিব সাভার পৌর এলাকার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম শিরুর ছেলে।

এখন পর্যন্ত নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি পুলিশের খাতায় পলাতক হয়েও পৌর নির্বাচনের বিভিন্ন প্রচারনায় সাকিবের অংশগ্রহন এবং সদ্য সমাপ্ত সাভার পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রতিকের জন্য মনোনীত হওয়ার পর মেয়রপ্রার্থী হাজী আব্দুল গণী ও তার ছেলে ফারুক হাসান তুহিনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ছবিসহ একটি সংবাদ বাংলাদেশ পোস্ট পত্রিকায় প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে এনিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাভার উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।

সাকিবকে গ্রেপ্তার করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের বাংলাদেশ পোস্ট’র সাথে আলাপকালে সাভার নাগরিক কমিটি ও দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক সালাহউদ্দিন খান নঈম বলেন, ”স্কুলশিক্ষার্থী নীলা রায় হত্যাকান্ডের পর থেকে দ্রুত এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে আমরা সবসময় সোচ্চার ছিলাম।

এই মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা ঘটনার কিছুদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার হলেও সাকিব ছিলো পলাতক। পলাতক হয়েও তার প্রকাশ্য চলাফেরার বিষয় নিয়ে ছবিসহ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের গত ২৬ জানুয়ারির মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় সাকিবের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব সাকিবকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় বখাটে মিজানের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হয় সাভার এ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নীলা রায়। ঘটনার পর নিহতের পরিবার বখাটে মিজানকে মূল আসামী করাসহ মিজানের বাবা-মা’কে আসামী করে এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মিজান ও তার বাবা-মা’কে গ্রেপ্তারের পর আদালতে মিজানের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাকিব ও সেলিম পালোয়ান নামে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আরও দুজনের নাম উঠে আসে। ততদিনে মামলার অন্যান্য সকল আসামী গ্রেপ্তার হলেও শুধু সাকিবই ছিলো পুলিশের ধরাছোয়ার বাহিরে।

এন এম/ এস এ/ওআ