সাভারের পৌর এলাকা শিমুলতলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর দুইজনকে র্যাব ও একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো - বাগেরহাট জেলার মোরলগঞ্জ থানা এলাকার নিজাম শরীফের ছেলে আজাদ শরিফ (২৯), সাভারের ডগরমোড়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মোহাম্মদ রনি ওরফে ডগি রনি (৩০), এবং নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের আরিফ মীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল সোমবার রাতে সাভারের রাজশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজাদ শরীফ ও রনিকে গ্রেপ্তার করে। তারা উভয়ই মোস্তাফিজ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।’
অপরদিকে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘ঘটনার পর সাভার থেকে নিজ জেলা নড়াইলে পালিয়ে যায় অপর আসামী আরিফ মীর। পরে সেখানে যাওয়ার পর অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা থাকায় নড়াগাতি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি জানতে পেরে মোস্তাফিজ হত্যা মামলাও তাকে শোন গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
এর আগে আজকের বাংলাদেশ পোস্টের সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে গ্রেপ্তারকৃত রনি, শরিফ, আরিফসহ সাভারের ডগরমোড়া, চাপাইন, শিমুলতলা ও সিআরপি রোডের সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্রের বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসে।
তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম সোমবার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পোস্টের অনলাইনে এবং মঙ্গলবারের পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে মর্মান্তিকভাবে খুন হন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি গত এক বছর যাবত সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাম হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর সোমবার নিহত মোস্তাফিজুর রহমানের বাবা মজিবর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এনএম/ ওয়াই এ/ওআ