ন্যাভিগেশন মেনু

সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামি চাকরি থেকে বরখাস্ত


কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৭ আসামিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা কাণ্ডের জেরে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা ও কক্সবাজারের এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে পুলিশ সদর দফতর থেকে এবং কক্সবাজারের এসপি বরখাস্ত করেন এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে।

প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী ইন্সপেক্টর হওয়ায় তাদেরকে পুলিশ সদর দফতর থেকে এবং বাকি পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ কাণ্ডে মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট মামলা করেন।

গত ৬ আগস্ট টেকনাফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আদালত নম্বর-৩) বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহা. হেলাল উদ্দিন এর আদালতে চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ৭ আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সকলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

একই আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলী ও নন্দলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর ও বাকী আসামিদের ২ দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করছে র‌্যাব। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।

এস এস