ন্যাভিগেশন মেনু

সুইজারল্যান্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত


সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে রবিবার (১৫ আগস্ট) সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠাকীকরণ’, বিদেশে বাংলাদেশি শ্রমিক প্রেরণের মাধ্যমে অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ করে তার দেশ পরিচলনায় দূরদর্শীতা এবং কূটনৈতিক প্রজ্ঞার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, “যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ঘাতকেরা সেই নীতি ও আদর্শকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবহমান থাকবে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর স্বপ্ন।“

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সকলকে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন।

এছাড়া, দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু আলোকচিত্র নিয়ে একটি বিশেষ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত রহমান এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীটি এবারের জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ সকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সুইজারল্যান্ডে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, স্বাগতিক দেশের বিধি-বিধান প্রতিপালন করে উক্ত অনুষ্ঠানে সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি সশরীরে দূতাবাসে এসে অংশগ্রহণ করেন এবং কিছু অতিথি অনলাইনে জুম-এর মাধ্যমেও অংশগ্রহণ করেন।

এসএ/এডিবি/