ন্যাভিগেশন মেনু

সুখবরের ইঙ্গিত, করোনার নয়া ভ্যাকসিন ট্যাবলেট


করোনার নতুন একটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুব শিগগির মানুষের ওপর শুরু করতে যাচ্ছেন একদল বিজ্ঞানী। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, এই ভ্যাকসিন ইনজেকশন (টিকা) হিসেবে নিতে হবে না, বরং ট্যাবলেট হিসেবে খেতে হবে। খবর  ডেইলিমেইলের।

ভ্যাক্সআর্টের প্রধান বিজ্ঞানী শন টাকার ডেইলিমেইলকে জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের আগেই ওই ট্যাবলেটের হিউম্যান ট্রায়াল দেয়ার চিন্তা করছেন তারা।

তিনি জানান, আমার ধারণা চলতি বছরের শেষ অথবা পরের বছরের শুরুতে ভ্যাকসিনের লাখ-লাখ ডোজ পাবে পৃথিবীবাসী।

শন টাকার বলছেন, করোনো মোকাবিলা করতে আমরা বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি। আমরা মূলত ডিএনএতে তৈরি করছি যা কভিড-১৯-এর প্রোটিনকে এনকোড করে। যদি এটা ঠিকঠাকভাবে নেয়া যায়, তাহলে ওই প্রোটিনের বিরুদ্ধে ভালো ইমিউন সিস্টেম গড়ে তুলবে।

টাকার জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন এখন ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে মানুষের দেহে করা হবে।

‘আমরা প্রত্যেকটি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি। বোঝার চেষ্টা করছি কোনটি ভালো কাজ করে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো মনে হচ্ছে। ডেটা বিশ্লেষণে সুন্দর একটি সমাধানের ইঙ্গিত পাচ্ছি।’

কোনো প্রতিষেধক না থাকা কভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে অনেক দেশ উঠেপড়ে লেগেছে। এর মধ্যে আমেরিকায় ১২টি কোম্পানি চেষ্টা করছে। চিনে হিউম্যান ট্রায়ালে আছে চারটি। আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে জার্মানি একটি নিয়ে কাজ করছে।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তৈরি করেছে চাডক্স১ এনকভ-১৯ ভ্যাকসিন। সেখানকার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, সেপ্টেম্বরের ভেতর তাদের ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে।

করোনাভাইরাস সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৭২৫ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ লাখ ২ হাজার ১৫২ জন।

ওআ