ন্যাভিগেশন মেনু

সুশান্ত জীবিত থাকলে মাদকযোগে তিনিও গ্রেফতার হতেন: রিয়া


তাঁকে ব্যবহার করেছেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর ভাই শৌভিক এবং বাকি কর্মচারীদেরও প্রয়োজনে কাজে লাগিয়েছেন অভিনেতা। বম্বে হাইকোর্টে ৪৭ পাতার জামিনের আবেদনপত্রে বিস্ফোরক রিয়া চক্রবর্তী।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতে মাদক যোগ সামনে আসার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। মঙ্গলবার সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল এনসিবি। আর তাতেই মাদক মামলা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত এনডিপিএস (নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত রিয়ার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।

এর পরেই বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক। ৪৭ পাতার সেই আবেদনপত্রে রিয়া লেখেন, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পাওয়া না গেলেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। সুশান্তের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন রিয়া। আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, “নিজের মাদকের অভ্যাস জিইয়ে রাখতে কাছের মানুষদের ব্যবহার করেছিল সুশান্ত।”

রিয়া আরও লিখেছেন, সুশান্ত জীবিত থাকলে মাদকযোগে তিনিও গ্রেফতার হতেন। শাস্তি হিসেবে হয় সুশান্তের জেল হত অথবা তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে যেতেন। রিয়ার প্রশ্ন, “যিনি মাদক নিতেন (সুশান্ত), তাঁর জন্য যদি এত কম শাস্তি ধার্য হয় তবে যিনি মাত্র কয়েক বার সেই ব্যক্তিকে মাদক জুগিয়েছেন (রিয়া), তাঁর শাস্তির পরিমাণ এত বেশি কেন হবে?”

আজ, বুধবার ছিল রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদনের শুনানি। কিন্তু মুম্বইয়ে লাগাতার ভারী বৃষ্টির জন্য বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আদালতের ছুটি ঘোষণা করায় তা পিছিয়ে যায়।পরিবর্তে আগামিকাল, বৃহস্পতিবার শুনানির নতুন দিন ধার্য করা হয়েছে।

এর আগে সুশান্তের পরিচারক নীরজ সিবিআইকে জেরায় জানিয়েছিলেন, অভিনেতাকে প্রায়শই জয়েন্ট (গাঁজা) বানিয়ে দিতেন তিনি। এমনকি মৃত্যুর দিন কয়েক আগেও সুশান্তের নির্দেশমতো বেডরুমে একটি বাক্সে গাঁজা বানিয়ে রেখে দিয়েছিলেন নীরজ। সুশান্তের মৃত্যুর পর সেই বাক্স ফাঁকা অবস্থায় মেলে। সেই ঘটনা উল্লেখ করে এ দিন জামিনের আবেদনপত্রে রিয়া লেখেন, “এর থেকেই প্রমাণিত হয় একমাত্র সুশান্তই মাদক নিত। আর নিজেই মাদকাভ্যাস চালিয়ে রাখার জন্য আশেপাশের মানুষদের ব্যবহার করত।’’

রিয়ার অভিযোগ,‘কেদারনাথ’ ছবির শুটের সময় থেকেই নাকি সিগারেটে গাঁজা ভরে খাওয়ার অভ্যাস করেন সুশান্ত। 

ঐ ছবিতে সুশান্তের কোস্টার ছিলেন সারা আলি খান। যিনি ওই সময়ে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্কেও ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। রিয়ার বয়ান অনুযায়ী, মাদক নিতেন সারাও। এনসিবি সূত্রে খবর, সারার মাদক যোগ খতিয়ে দেখতে খুব শীঘ্রই সমন পাঠানো হবে তাঁকে।

জামিনের আবেদনপত্রে রিয়া লেখেন, গোটা তদন্তে একবারের জন্যও সুশান্তের ফোন কল, মেসেজ, চ্যাট সামনে রাখা হয়নি। তিনি নিজে কী ভাবে গাঁজা যোগাতেন তা না বার করে সমানে তাঁর বন্ধু, প্রেমিকা এবং বাকি কর্মচারীদের দোষারোপ করা হয়েছে। রিয়ার বক্তব্য, সুশান্তের জন্য তাঁর কথামতো তিনি কয়েকবার মাদক কিনেছেন। তবে এ ছাড়া আর কোনও অন্যায় তিনি করেননি। নিজে মাদক নেননি বা মাদক সরবরাহতেও তিনি যুক্ত নন। যদিও এনসিবি’র অভিযোগ, রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই মুম্বইয়ের মাদকচক্রের সক্রিয় সদস্য।

ওআ/