ন্যাভিগেশন মেনু

সুস্থভাবে বাঁচতে আর নয় প্লাস্টিক পণ্য


সবারই জানা প্লাস্টিক পণ্য মানবদেহের জন্য বড় ধরণের ক্ষতিকারক। এটা জানা সত্বেও আমরা প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করছি।

জীবন-যাপন বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এর ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরা হল:

প্লাস্টিকের বোতল: প্লাস্টিক বোতল তৈরিতে ‘বাইফেনল এ’ (বিপিএ) নামক যৌগ ব্যবহার করা হয় এবং এতে মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকে। নিয়মিত প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হরমোন এবং স্থূলতার সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার গরম করা হলে তা বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ইন্সুলিনের প্রতি সংবেদন বাড়ায়। ফলে চর্বির কোষ উৎপন্ন হয়।

পরিশোধিত তেল: তেল পরিশোধন করতে প্রচুর অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় যা পরে আবার হেক্সানল নামক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে দূর করা হয়।

ভাজার জন্য যখন পরিশোধিত তেল গরম করা হয়, এটা কালো হতে থাকে এবং ট্রান্স ফ্যাট উৎপাদন করে যা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ফলে হৃদয়ে সমস্যা বা ক্যান্সার হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। 

বিকল্প- কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন।

ননস্টিক: উচ্চ তাপে এইসকল পাত্রে রান্না করলে এর পিএফসিএস’য়ের পরত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় এই কোটিং ফুল ওঠে যা যকৃত এবং হজমে নানান সমস্যার সৃষ্টি করে।

এজন্য ঢালাই লোহার তৈরির কড়াইতে রান্না করার পরামশ্য দেওয়া হয়েছে।  

অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী, ৫০ মি.গ্রা. অ্যালুমিনিয়াম মানব শরীরের জন্য সহনশীল। গবেষণা বলে, খাবারের মোড়কে প্রায় ২ থেকে ৫ মি.গ্রা. অ্যালুমিনিয়াম থাকে।

আরো পড়ুন :

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ বাক্স রাখার পরামর্শ হাইকোর্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহৎ শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

পরোক্ষভাবে এভাবে অ্যালুনমিনিয়াম গ্রহণ লৌহ শোষণের ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটায় যা মস্তিষ্ক ও হাড়ের সুস্থতার জন্য জরুরি।

বিকল্প হিসেবে বাটার পেপার অথবা সুতির কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

ভাঙা বাসন: পছন্দের মগ বা কাপ ভেঙে গেলে তা আর ব্যবহার না করাই ভালো। ভাঙা বাসন ঠিকভাবে পরিষ্কার করা যায় না এতে জীবাণূ রয়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে ভাঙা বাসনপত্র এড়িয়ে চলুন।

তাই ভাঙা বাসনের বদলে নতুন বাসন ব্যবহার করতে হবে।

প্লাস্টিকের চপিং বোর্ড: গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকের চপিং বোর্ডে রোগ জীবাণু সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়া থাকে যা পরে পাকস্থলীতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। তাছাড়া খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিকের কণা মিশে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

বিকল্প হসেবে  কাঠের তৈরি চপিং বোর্ড ব্যবহার করুন।

অ্যালুমিনিয়ামের তৈজস: অ্যালুমিনিয়াম ধীর বিষ হিসেবে কাজ করে।  এসব তৈজস নিয়মিত ব্যবহারে কিডনি ও ফুসফুসের ক্ষতি করে। প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, খাবারের সঙ্গে অ্যালুমিনিয়াম মিশিয়ে তা শরীরে প্রবেশ করে ও ক্ষতি করে থাকে।

বিকল্প হিসেবে স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি তৈজস ব্যবহার করুন।

এসএস

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন আজকের বাংলাদেশ পোস্ট