ন্যাভিগেশন মেনু

সুস্থ থাকতে দাঁত ও মুখের যত্ন


আমাদের সুস্থতা ও সৌন্দর্য অনেকটা জুড়ে রয়েছে দাঁত ও মুখের ভেতরের সুস্থতা। আমাদের দেশে সাধারণত দাঁতের ক্ষয়, মাড়ির প্রদাহ, দাঁত ও চোয়ালের আঘাতজনিত সমস্যা, আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু দাঁত, চোয়াল ও মুখের অসামঞ্জস্যতা, চোয়ালের হাড় ও মুখমণ্ডলের সংক্রমণ, চোয়ালের সিস্ট টিউমার, ওরাল ক্যানসার ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি।

সঠিক সময় ও নিয়মে দাঁত পরিষ্কার না রাখলে ক্ষতিকর জীবাণু বংশবৃদ্ধি করে এবং এসিড ও টক্সিন (বিষ) তৈরি করে। এরপর দাঁতের ক্ষয় ও মাড়ির প্রদাহ সৃষ্টি করে। মুখে দূর্গন্ধের সৃষ্টি করে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সময় থাকতে দাঁত ও মুখের যত্ন নিতে হবে।

চলুন জেনে নিই আমাদের দাঁত ও মুখের ভেতরটা ভালো রাখতে যা করা দরকার -

➤ কফি, চা ও এনার্জি ড্রিংকসসহ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় পানে সতর্ক থাকতে হবে। চা-কফি অতিরিক্ত পান করলে দাঁতে দাগ বসে যায়। 

➤ মনে রাখতে হবে, মুখে সঠিক লালপ্রবাহ দিয়েই আমাদের হজম প্রক্রিয়া শুরু হয়। দাঁত ও মুখের ভেতরটা পরিষ্কার না থাকলে, এতে খাদ্যের কণা ও জীবাণু দাঁত থেকে পেটে চলে যায়।

➤ কিসমিস, খেজুর বা বাদামের মতো শুকনো ফলগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। তবে খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে থেকে গেলে তা কিন্তু দাঁতের জন্যে ক্ষতিকর। তাই এসব খাবার খাওয়ার পর দাঁতের ফাঁকে আটকে আছে কি-না তা খেযাল রাখতে হবে।

➤ কেক বা নরম পেস্ট্রি দাঁতের ফাঁকে গর্ত তৈরি করে ও জীবাণুর জন্ম দেয়। তাই এ খাবারগুলো কম খাওয়া ভালো। এ ছাড়াও এসব খাবার খাওয়ার পর ভালো করে কুলকুচি করতে হবে।

➤ অ্যালকোহল পান থেকে দূরে থাকতে হবে। অ্যালকোহল পানে মুখ শুষ্ক থাকে। মুখের লালার প্রবাহ কমে যায়, দাঁতের ক্ষয় বাড়ে এবং নানা রকম প্রদাহ তৈরি হয়।

➤ দাঁত সুস্থ রাখতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ছোটবেলা থেকে শেখা, দিনে নিয়মিত দু’বার দাঁত মাজার কথা মনে আছে তো? নিয়মিত দু‘বার দাঁত মাজতে হবে।

➤ দাঁতের অ্যানামেল, আবরণ ও রং নষ্ট করে এমন খাবার খাওয়া যাবে না। আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংকস যতোই পছন্দ হোক, খাওয়ার আগে দাঁতের কথা ভাবুন।

এ ছাড়াও দাঁত, জিভ বা মুখের ভেতরে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

সিবি/এডিবি