ন্যাভিগেশন মেনু

৪৬ বছরে পদার্পণ সুস্মিতা সেন


প্রথম ভারতীয় হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’ জয়ী সুস্মিতা সেনের জন্মদিন ১৯ নভেম্বর।

১৯৭৫ সালের এইদিনে ভারতের হায়দারাবাদের অন্ধ্র প্রদেশে এক বাঙালি পরিবারে তার জন্ম। তার বাবা সুবীর সেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রাক্তন উইং কমান্ডার এবং মা সুভ্রা সেন অলঙ্কার ডিজাইনার এবং দুবাইভিত্তিক একটি দোকানের মালিক। সুস্মিতা নতুন দিল্লীতে বিমান বাহিনীর গোল্ডেন জুবিলী ইন্সটিটিউট দিয়ে শিক্ষা জীবনে পা রাখেন।

১৫ বছর বয়স থেকেই শোবিজের সঙ্গে তার পথচলা। ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হয়ে বলিউডে শুরু হলো সুস্মিতার মজবুত পদচারণা।

মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ‘ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স’ খেতাব অর্জন করেন। এর ফলে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পান।

১৯৯৬ সালে সুন্দরী, গুণি অভিনেত্রী, আত্মবিশ্বাসী, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের সুস্মিতা সেন ‘দাস্তাক’ সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। ‘দাস্তাক’ সিনেমাটি খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি না করলেও ১৯৯৯ সালে সাফল্য এলো ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’-এ। এই সিনেমা দিয়ে ফিল্মফেয়ার সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তোলেন সুস্মিতা। একই বছর মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘সির্ফ তুম’। এই সিনেমার জন্যও তিনি একই পুরস্কার পান।

সুস্মিতার উল্লেখ্যযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘ফিজা’, ‘বাস ইতনা সা খোয়াব’, ‘ম্যায় হু না’, ‘ফিলহাল’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’, ‘আঁখে’র মতো ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলো।

সুস্মিতা সেনের নামটি সিঙ্গেল মাদার হিসেবে এই উপমহাদেশে আইকনিক। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অবিবাহিত নারী হিসেবে ২০০০ সালে তিনি রেনি নামের এক মেয়ে শিশু দত্তক নিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন। সমাজপতিরা শিশু দত্তক নেওয়ায় তার অভিভাবকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললেও মুম্বাই আদালত সুস্মিতার পক্ষে রায় দেয়। যুগান্তকারী সেই রায়ের পর ভারতে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার চর্চাটা বেড়েছে মর্যাদার সঙ্গে।

অবশেষে ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি আলিশা নামে তিন মাস বয়সী আরও একটি মেয়ে শিশু দত্তক নেন সুস্মিতা। বর্তমানে রেনি, আলিশার সঙ্গে বেশ দারুণ কাটছে তার দিনগুলো।

ওয়াই এ/এডিবি