ন্যাভিগেশন মেনু

কলাপাতায় কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ


পশ্চিমবঙ্গে এসে ফের চমক দেখালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।  বঙ্গ সফরের প্রথমদিনে মেদিনীপুর জেলায় একাধিক কর্মসূচির মাঝে মধ্যাহ্নভোজ সারতে বালিজুড়ি গ্রামে কৃষক পরিবারে যান তিনি।

ওই পরিবারের মহিলা সদস্যরা শঙ্খধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানান তাঁকে। কেননা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাড়িতে আসছেন বলে কথা। তাই মেদিনীপুরের বালিজুড়ির কৃষক ঝুনু ওরফে সনাতন সিংয়ের বাড়িতে তৎপরতা ছিল তুঙ্গে।

মাটি দিয়ে নিকোনো বাড়িতে সূক্ষ্ম হাতে আঁকা হয়েছিল আলপনা। এছাড়াও লেখা হয় স্বাগতম। শুক্রবার সকাল থেকে গেরুয়া শিবিরের নেতাকর্মীদের আনাগোনা লেগেই ছিল। বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষীদের।

শনিবার দুপুর দেড়টার কিছু পরে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কৃষক সনাতনের মাটির বাড়ির সামনে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কনভয়। সেই সময় তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সনাতনের পরিজনেরা। পরিবারের মহিলা সদস্যরা শঙ্খধ্বনি দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষণ আলাপচারিতা সারেন অমিত শাহ। বসেন বাড়ির সামনে থাকা খাটিয়ায়। তারপর ধীরে ধীরে সনাতন সিংয়ের বাড়ির দাওয়ায় গিয়ে পৌঁছন অমিত শাহ।

মাটিতে বসে কলাপাতায় খাবার খান তিনি। তাঁর মেনুতে ছিল লাউ মুগডালের বিশেষ পদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খাওয়ানো হয় ভাত, রুটি, উচ্ছে ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা, খসলা শাকের ভাজা, লাউ মুগডাল, শুক্তো, চাটনি ও পাঁপড়। ছিল স্যালাড এবং টক দই।

পরিমাণে অল্প হলেও সব পদই খান তিনি। তাঁর সঙ্গে একই পংক্তিতে বসে ওই খাবার খান দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়রাও। খাওয়াদাওয়া সারার পর বেশ কিছুক্ষণ কৃষক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিন ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে মেদিনীপুরে আসেন অমিত শাহ। মধ্যাহ্নভোজ সারার আগে তিনি হবিবপুরে ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। “ক্ষুদিরাম যেমন বাংলার, তেমনই ভারতের’, নাম না করে এভাবেই রাজ্যকে খোঁচা দেন তিনি। এছাড়াও সিদ্ধেশ্বরী এবং মহামায়া মন্দিরে পুজোও দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এস এস