ন্যাভিগেশন মেনু

সোনালী স্বপ্ন দেখছেন দিনাজপুরের কৃষকেরা


ভাল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বর্ষার পানি পাওয়ায় আমন ধানের ক্ষেত যেন এবার হাসছে।  ধান চাষে খ্যাত দিনাজপুর সদর সহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় মাঠে মাঠে এখন আমনের  হলদে রংঙের সমারোহ।  আমন ধান ক্ষেতের বাতাসে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় ২৩ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে উফসি, ২ শত ১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় ও ৩ শত ২৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ১০ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। আর এক মাসের মধ্যেই কৃষক তাদের কাঙ্খিত আমন ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

জানা গেছে, করোনাকালীন সময় থেকে কৃষকদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে ছুটির দিনসহ কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী  আমন ধান নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে  কৃষকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ, ভ্রাম্যমান ফসল ক্লিনিক সেবা,আলোক ফাঁদ, সন্ধ্যাকালীন ভিডিও প্রর্দশন,উঠান বৈঠক,দলীয় আলোচনা, সচেতনামূলক আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ  করছেন।

এছাড়া পিপি স্কোয়াড গঠন করে মাঠের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যাবেক্ষন পরামর্শ  ও নিয়মিতভাবে রোগ ও পোকার আক্রমণ সংক্রান্ত পূর্বাভাস জরিপ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের তদারকি সহ নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উফশী জাতের আবাদ বেড়েছে। বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাইব্রিড ও উফশীতে আগ্রহ বেশী। আশা রাখছি এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে।

এস এ/ওআ