ন্যাভিগেশন মেনু

সৌদি আরব সফরে বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা


সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান সৌদি আরব গেছেন। বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ কোনও কর্মকর্তার এটাই প্রথম সৌদি আরব সফর।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তিনি সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরব এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে দীর্ঘ যুদ্ধের অবসানে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিতেই সালিভানের এই সফর।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রশাসনের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সালিভান এ সময় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের পাশাপাশি তার ভাই এবং উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমানের সাথেও দেখা করবেন।

সালিভানের রিয়াদ ভ্রমণের কথা নিশ্চিত করে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেন, সৌদি আরবের মিত্রদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতও সফর করবেন সালিভান। তবে এর অতিরিক্ত বিবরণ তিনি দেননি।

আরব বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ ইয়েমেনের পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার মুহূর্তে সালিভানকে ওই এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীরা দেশটির উত্তরাঞ্চলের তেল সমৃদ্ধ শহর মারিব থেকে সৌদি সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টায় তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ শেষ করার সব রকম আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

ইয়েমেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টিম লেন্ডার্কিং গত জুলাই মাসে যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক আলোচনায় বসতে হুথিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বাইডেন প্রশাসনের সাথে পুনরায় ভাবমূর্তি ফিরে পেতে সৌদি আরবও এ বছরের শুরুর দিকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল।

উপর্যুপরি বিমান হামলায় বেসামরিক লোকদের নির্বিচারে হত্যা এবং দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে একটি জাতিকে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে আছে সৌদি আরব। 

ইয়েমেনের জন্য জাতিসংঘের নতুন বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রান্ডবার্গ সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, দেশটি একটি অনির্দিষ্টকালের যুদ্ধে আটকে আছে এবং ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে আলোচনা পুনরায় শুরু করা খুব একটা সহজ হবে না।

প্রশাসনের দু'জন ঊর্ধতন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা আশাবাদী যে গ্রান্ডবার্গের নিয়োগ নতুন করে গতিশীলতা আনবে এবং দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে সব পক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।

এডিবি/