ন্যাভিগেশন মেনু

স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে এএসআই রায়হানুল পুলিশ হেফাজতে


প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ তিন জনকে হেফাজতে নিয়েছে মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার পুলিশ।

রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে মহানগর পুলিশের হারাগাছ থানাধীন ক্যাদারের পুল এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়‍।

এ বিষয়ে কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানান, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি এলাকার নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। রবিবার সকালে ওই কিশোরীকে ওই এলাকার শহিদুল্লা মিয়ার ভাড়াটিয়া আলেয়া বেগমের বাড়িতে ডেকে নেয় রায়হান। সেখানে রায়হানসহ আরও দুইজন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পুলিশ সদস্য রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে রাতেই হারাগাছ থানায় ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ সুরভী ও আলেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ছাত্রীর মা জানান, ‘মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার মেয়ের সাথে এএসআই রায়হানুলের পরিচয় হয়েছিল। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোরী জানিয়েছে তাকে রাজুসহ আরও দুই জন ধর্ষণ করেছে। সে রাজু নামে একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছে। রাজুকে সোমবার সকালে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।’

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, ‘ওই পুলিশ সদস্যর সাথে স্কুল ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভাড়াটিয়া আলেয়ার বাড়িতে ওই পুলিশ সদস্য ডেটিং করে। পরবর্তীতে মেয়েটি বাসায় চলে যায়। কিন্তু মেয়েটির ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা রাগ করলে সে পুনরায় ওই ভাড়াটিয়া বাড়িতে চলে আসলে তখন মেয়েটিকে আটক রেখে আরও দুইজন ধর্ষণ করে। এসব ঘটনার কথা মেয়েটি পুলিশের পেট্রোল গাড়ির সামনে এসে বললে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।’

এমআইআর/ওআ