ন্যাভিগেশন মেনু

স্ত্রীর সঙ্গে ৩ দিন, প্রেমিকার সঙ্গে ৩ দিন: সমাধান দিল পুলিশ


পরকীয়ার সমস্যায় জীবন জর্জরিত? ‘শ্যাম রাখি না কুল’-এর মতো স্ত্রী না বান্ধবী?  কাকে ছেড়ে কার আঁচল ধরে রাখবেন, কিছুতেই বুঝতে পারছেন না?

আবার দু’জনের দ্বন্দ্ব মেটাতেও পারছেন না? নির্ঝঞ্ঝাটে বচসা দূর করুন এই সহজ সমাধানের মাধ্যমে। সপ্তাহের তিন দিন কাটান ‘বেটার হাফ’-এর সঙ্গে আর তিন দিন ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর সঙ্গে।

আর মাঝের একদিন স্রেফ বিশ্রাম নিন। খানিকটা ‘ডে অফ’-এর মতো। ব্যস! হয়ে গেল মুশকিল আসান!

এই অভিনব সমাধানই রাঁচির কোকার তিরিল রোডের বাসিন্দা, রাজেশ মাহাতোকে বাতলে দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। রাজেশ তা মেনেও নিয়েছিলেন। যার জন্য কিছুদিনের জন্য বচসা ধামাচাপা পড়লেও আগুন কিন্তু পুরোপুরি নেভেনি।

রাজেশের প্রেমিকা, তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করে দিয়েছেন। ফলত, রাজেশের নামে দায়ের হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। তিনি আপাতত ফেরার।

কিন্তু গোটা ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল?

বিবাহিত এবং সন্তানের পিতা হওয়া সত্ত্বেও, এক তরুণীর প্রেমে পড়েন রাজেশ। গোটাটাই গোপন রেখে জড়ান পরকীয়া সম্পর্কে। এর কয়েকদিন পরই প্রেমিকাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে তাঁর স্ত্রী দ্বারস্থ হন পুলিশের। থানায় গিয়ে স্বামীর নামে অভিযোগ ঠুকে দেন। ওদিকে, তরুণীর পরিবারও পাল্টা রাজেশের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ তখন খোঁজ শুরু করে তাঁর। হদিশও পেয়ে যায়।

তখন জানা যায়, প্রেমিকাকে ইতিমধ্যেই বিয়ে করে নিয়েছেন রাজেশ।

এরপর ফের থানায় জড়ো হয় দু’পক্ষ। রাজেশকে মাঝখানে রেখে শুরু হয় তুমুল বচসা। প্রচুর বুঝিয়েও দু’পক্ষকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। অগত্যা মাথা খাটিয়ে বের করা হয় এই অভিনব সমাধান।

ঝাড়খণ্ড পুলিশ রাজেশকে পরামর্শ দেয়, সপ্তাহের প্রথম তিন দিন স্ত্রীর সঙ্গে কাটাতে, আর বাকি তিন দিন প্রেমিকার সঙ্গে কাটাতে। মাঝের এক দিন সে ‘ছুটি’ নিতে পারে।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রথমে দু’পক্ষ এই প্রস্তাব মেনেও নেয়। তারা ‘অফিসিয়ালি’ ‘ডিল’ সই করে। দু’পক্ষকেই এই সংক্রান্ত নথির ‘কপি’ও দিয়ে দেওয়া হয়। যদিও দিন কয়েক পরই গোটা ঘটনার সুর কেটেছে। কারণ রাজেশের প্রেমিকা ফের তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠুকে দিয়েছে।

এস এস