ন্যাভিগেশন মেনু

স্বামীকে ত্যাগ করে সৎ পুত্রকে নিয়ে ঘর-সংসার


আঁতকে উঠার মতোই সংবাদ। কথায় বলে প্রেমে নাকি সবকিছুই বৈধ। মনের মতো সঙ্গীটিকে আপন করতে যে কোনও সীমাই পেরনো যায় হাসতে হাসতে। দুনিয়াজুড়ে এমন বহু প্রেম কাহিনি রয়েছে যা শুনে সত্যিই অবাক হতে হয়।

কিন্তু কখনও শুনেছেন সৎ ছেলের সঙ্গে সুখে সংসার পাততে স্বামীর ঘর ত্যাগ করেছেন মহিলা! এমন কাণ্ড ঘটিয়েই রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার শীর্ষে উঠে এসেছেন রাশিয়ান ব্লগার মারিনা বলমাশেভা।

মানুষকে শরীরচর্চার পরামর্শ দেওয়াই পেশা বছর পঁয়ত্রিশের মারিনার। তাঁর ‘রঙিন’ জীবনের কাহিনি সাড়া ফেলে দিয়েছে নেটদুনিয়ায়।

বছর পনেরো আগে অ্যালেক্সি শ্যাভরিনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন মারিনা। যদিও মারিনার সঙ্গে সংসার পাতার আগেই অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অ্যালেক্সির। তাঁদেরই সন্তান ভ্লাদিমির। স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর মারিনার সঙ্গে সুখেই কাটছিল অ্যালেক্সির বিবাহিত জীবন। সাত বছরের সৎ ছেলেকেও ভালই বাসতেন মারিনা। কিন্তু সেই ছেলেই যে একদিন স্বামীর জায়গা নেবে, কে জানত!

বছর দশেক সংসার করার পর অ্যালেক্সির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মারিনার। তাঁর প্রাক্তন স্বামী অভিযোগ করেছিলেন, ভ্লাদিমির ছুটিতে বাড়ি এলেই তাঁকে যৌন সুরসুরি দিতেন মারিনা। যদিও সেসব কানে তোলেননি মহিলা।

তবে অভিযোগ যে নেহাত অমূলক ছিল না, পরবর্তীকালে তাঁর কাণ্ডকারখানাতেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। ২১ বছরের সৎ ছেলে ভ্লাদিমিরের প্রেমে পড়েন মারিনা। সম্পর্ক এতটাই গভীর হয়ে ওঠে যে বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তাই ঠিক করেন সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন।

যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বয়সে ১৪ বছরের ছোট সৎ ছেলের হাত ধরে নতুন ইনিংস শুরু করেন মারিনা। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন তিনি।

মেয়ে-মা দু’জনই সুস্থ। তবে মা আর সৎ ছেলের কীর্তি অবাক করেছে নেটিজেনদের। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, এমনটাও সম্ভব! সত্যি, কী বিচিত্র এ বিশ্ব!

এস এস