ন্যাভিগেশন মেনু

স্বাস্থ্যের জন্য ডিম


সকলেই কম বেশি ডিম খেতে ভালোবাসেন। এমন মানুষ খুব কমই আছেন যারা ডিম খেতে ভালোবাসেন না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতিদিন একটা করে ডিম খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তবে ডিম থেকে শারীরিক উপকার পেতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে হবে।

তবে একটা বিষয় নিয়ে অনেকের মধ্যে তর্ক লেগে থাকে। সেটা হলো হাঁসের ডিমে বেশি উপকার, না কি মুরগির ডিমে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কোনটি ,হাঁসের ডিম না মুরগির ডিম!

পুষ্টিমূল্যের দিকে বিচার করলে হাঁসের ডিম এবং মুরগির ডিমের পুষ্টিগুণ প্রায় একই। তবে হাঁসের ডিমে পুষ্টির পরিমাণ সামান্য বেশি।

১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ১৮১ কিলোক্যালরি শক্তি থাকে, প্রোটিন থাকে ১৩.৫ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ১৩.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম থাকে ৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন থাকে ৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ থাকে ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম। 

অন্যদিকে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ১৭৩ কিলোক্যালরি শক্তি থাকে, প্রোটিন থাকে ১৩.৩ গ্রাম, ফ্যাট থাকে ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম থাকে ৬০ মিলিগ্রাম, আয়রন থাকে ২.১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ থাকে ২৯৯ মাইক্রোগ্রাম। 

তাহলে, দেখা যাচ্ছে যতই স্বাদে অতুলনীয় হোক না কেন হাঁসের ডিম কিন্তু স্বাস্থ্যের দিক থেকে বেশি উপকারী। তবে ফ্যাট যারা কমাতে চান তাদের জন্য আবার মুরগির ডিমটাই বেশি উপকারী।

কারণ হাঁসের ডিমে মুরগির ডিমের তুলনায় ফ্যাট বেশি থাকে। তাই মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমের উপকারিতা সবচেয়ে বেশি।

সিবি/এডিবি