ন্যাভিগেশন মেনু

স্যাঙ্গার ডিএনএ সিকোয়েন্সিং ল্যাব প্রতিষ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিজ্ঞানীদের সক্ষমতা ও সেবা বৃদ্ধি পাবে: চবি উপাচার্য


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ডিএনএ এর গঠন আবিষ্কারের ৭ দশক পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উক্ত বিভাগে ফাংশনাল জিনোমিক্স এবং প্রোটিওমিক্স ল্যাবরেটরিতে (এফজিপিএল) অত্যাধুনিক স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিন ও ল্যাবের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। 

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্যদ্বয়, চবি জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ তৌহিদ হোসেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. লায়লা খালেদার (আঁখি), এফজিপি ল্যাবের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল্-ফোরকানসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

চবি উপাচার্য বলেন, “বর্তমান বিশ্বে জীববিজ্ঞানের গবেষণায় অন্যতম শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসেবে এ ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হয়; কেননা এটি ব্যবহার করে গবেষকগণ বিভিন্ন অণুজীব থেকে শুরু করে মানুষ পর্যন্ত যেকোন ডিএনএ-সৃষ্ট জীবের সিক্যুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে জিনগত বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিং মেশিন এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই ল্যাবে গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন অণুজীব সনাক্তকরণ, জিনের প্রকাশ নির্ণয়, বিভিন্ন রোগের জিনগত কারণ উদ্ঘাটন, দ্রুত এবং সর্বোচ্চ গুণগতমানসম্পন্ন রোগনির্ণয়, রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য জানাপূর্বক ওষুধ ও ওষুধের ডোজ নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও করা যাবে।” 

তিনি এ ধরনের উন্নত ল্যাবে অত্যাধুনিক মেশিন এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ এতদ্অঞ্চলের জীববিজ্ঞানীদের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট রূঢ় পরিবেশে চাষযোগ্য নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় স্যাঙ্গার সিকোয়েন্সিং মেশিনটি এ ল্যাবে সংযুক্ত হয়েছে।