ন্যাভিগেশন মেনু

হলিউডের সিনেমায় বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম


দেশের জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার প্রীতম আহমেদ দুই যুগের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ‘বালিকা’, ‘চলো পালাই’, ‘ভালোবাসার মিছিলে এসো’র মতো জনপ্রিয় গান।

২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন এই শিল্পী। শুরুতে সঙ্গীত কর্ম চালিয়ে গেলেও গত বছর থেকে নাম লিখিয়েছেন অভিনয়ে। কাজ করছেন হলিউডের প্রখ্যাত কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে। সেসব সিনেমা-ওয়েব সিরিজ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।

ইতিমধ্যেই নেটফ্লিক্স, ওয়ার্নার ব্রাদার্স, অ্যামাজন, সনির মতো আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দারুণ সব সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে নিয়মিত অভিনয় করছেন প্রীতম। সম্প্রতি তিনি ব্রিটিশ রাজপরিবারের গল্পে যুক্ত হয়েছেন। সনি পিকচার্স প্রযোজিত শিশুদের জন্য নির্মিত এই সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। সিনেমাটির বাজেট ৩৬ মিলিয়ন ডলার।

সিনেমাটি প্রসঙ্গে প্রীতম আহমেদ বলেন, ‘কঠিন বিষয়গুলোর বিনোদনমূলক উপস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের কল্পনা ও স্বপ্নের জগতকে মজবুত করতে হয়। তবেই শিশুটি বড় হয়ে দেশ গড়ায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবে। আমরা আমাদের শিশুদের শুধু বাঁচার স্বপ্ন দেখাই, কিন্তু কী নিয়ে বাঁচবে, বেঁচে গেলে কি করবে সেসব কিছু বলি না। সিনেমার মূল চরিত্রগুলোতে শিশুরাই, অভিভাবক হিসেবে এখানে আমিসহ অভিনয় করছেন অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড উইনার এমা স্টোন, এমা থমসনসহ অনেকেী। তবে এ ছবির নাম একদমই বলা যাবে না।’

হলিউডের সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লন্ডনের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটিতে বিএ অনার্স পড়ছি এখন। আমার ইউনিভার্সিটির ফিল্ম ডিপার্টমেন্টের বন্ধুদের মাধ্যমেই ব্রিটিশ সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টরদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছি। তারা আমার জন্য উপযুক্ত চরিত্রে অভিনয়ের অডিশনে ডাকেন। সেভাবেই নিয়মিত কাজ করছি। যদিও ইংল্যান্ড বা আমেরিকার সমাজের গল্পে আমার গায়ের রং বা চেহারার আকৃতির মানুষের তেমন কোনও ভূমিকা নেই, তাই চট করেই ইংরেজ সমাজের সিনেমায় লিডিং ক্যারেক্টার পাওয়ার আশাও করছি না।’

এরইমধ্যে বিশ্ববরেণ্য অভিনেত্রী ক্লেইরি ফয়, এমা স্টোন, এলিজাবেথ ডেভিকি, জেমস বন্ড বা পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানের স্যার জোনাথন প্রাইস, হ্যারিপটার-এর ইমেলডা স্টাটান, ডমেনিক ওয়েস্টদের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন প্রীতম। তবে অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করলেও সঙ্গীত ছাড়ছেন না তিনি। লন্ডনে সঙ্গীতে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। প্রীতম নিজেকে এতটাই যোগ্য করে তুলতে চান, যাতে সঙ্গীতের আর কোনও ক্ষুদ্র প্রতিযোগীদের সঙ্গে তার লড়াই করতে না হয়।

ওআ/