ন্যাভিগেশন মেনু

হস্তান্তরের আগেই বিদ্যালয় ভবনে ফাটল


হস্তান্তর করার আগেই সদ্য নির্মীত প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের কক্ষে ফাটল ধরেছে। ভবনটি নির্মাণে নানা ধরণের অনিয়মের অভিযোগও করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। গুরুদাসপুর উপজেলার ৬২ নম্বর লহ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন নাজুক পরিস্থিতি।

শিক্ষকরা বলছেন, ভবনটি নির্মাণে বেজ ঢালাইয়ের সময় ডোমার বালি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়ম না মেনে মাটি ভরাট করে কাজ করেছে। তাছাড়া ইট, বালি, রড এবং ঢালাইয়ে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় লোকজন এবং শিক্ষকেরা বাধা দিলেও তা মানেনি ঠিকাদার। এখন ভবনটি হস্তান্তর না হলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শ্রেণি কক্ষগুলোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তরা খসে পড়ছে। পলেস্তরার প্রলেপ দিয়ে ফাটল বন্ধ করছেন ঠিকাদার।

এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, তিন কক্ষের এই বিদ্যালয় ভবনটি চারতলা ফাউন্ডেশনে তৈরির কথা। প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যায় বরাদ্দে ভবনটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. আনিসুর রহমান।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. আনিসুর রহমানের স্বত্বাধীকারি মাসুদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,  একটি শ্রেণিকক্ষে মূলত পলেস্তরায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। মূল ভবন ঠিকই আছে। সেখানে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয় ভবন তৈরির জন্য পুরনো ভবন দখল করে নির্মাণ কাজ করেছেন ঠিকাদার। ওই নির্মাণ কাজে নানা অসঙ্গতির কারণে নতুন ভবনটি হস্তান্তরের আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এখন জরাজীর্ণ পুরনো ভবনেই দুর্ভোগ সয়ে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করতে হচ্ছে।

স্থানীয় জানান, ভবনের বেজ ঢালাইয়ের সময় মাটি ফেলে ভরাট করা হয়েছে। সেসময় তিনিও ওই কাজের শ্রমিক ছিলেন। এনিয়ে বিদ্যালয়টির শিক্ষক আব্দুস সালাম এবং স্থানীয়রা বাধা দিলেও তা মানেননি ঠিকাদার। এখন ভবনের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে পুড়নো নাজুক ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বেড়েছে দুর্ভোগ।

উপজেলা প্রকৌশলী মিলন হোসেন জানান, হস্তান্তরের আগেই ভবনে ফাটলের বিষয়টি দুঃখজনক। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এএস/সিবি/ওআ