ন্যাভিগেশন মেনু

হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রণোদনা পাবে: কৃষিমন্ত্রী


হঠাৎ পাহাড়ি ঢলে হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকবে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হবে কী না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের প্রণোদনা আছে। ওখানে আমন ওইভাবে হয় না, একটাই ফসল। আমরা ইতোমধ্যে কর্মসূচি নিয়েছি, আউশে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য।’

দেশে এ মুহূর্তে সারের কোনো সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবছর ২৬ লাখ টন ইউরিয়া লাগে, টিএসপি সাড়ে ৭ লাখ, ডিএপিপি সাড়ে ১৬ লাখ ও এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন লাগে। আজ পর্যন্ত আমাদের মজুদে কোনো সমস্যা হয়নি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতি অর্থবছরের শেষে আমরা আগামী অর্থ বছরের জন্য কী পরিমাণ সার প্রয়োজন হবে, সেটি নির্ধারণ করি। সার নিয়ে আমাদের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। সার না পেয়ে ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছে। তারা কোনো সাহায্যে চায়নি, তারা শুধু ন্যায্য মূল্যে সার চেয়েছিল। এজন্য তাদের রক্ত দিতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এরপর ২০০৩, ২০০৪, ২০০৫ সহ প্রায় প্রতিবছর সারের সংকট হয়েছে। ডিলারদের কারসাজিসহ সব কিছুর মধ্যেই ত্রুটি ছিল। ফলে সার সংগ্রহ ও বিতরণে চরম অব্যবস্থাপনা ছিল। তবে বর্তমান সরকার তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের অর্থনীতির তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে একটি হলো কৃষি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষির গুরুত্ব অতীতেও ছিল, আগামীতেও থাকবে। দেশের প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের জীবিকা কোনো না কোনভাবে কৃষির সাথে জড়িত। এজন্য সারের বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখি।

প্রধানমন্ত্রী সে নির্দেশ দিয়েছেন সার ব্যবস্থাপনা যাতে কোনো সমস্যা না হয়। সার নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি, বলেন মন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আজকে দীর্ঘক্ষণ পর্যালোচনা করেছি সার নিয়ে। এ পর্যন্ত মজুদ অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে টিএসপি, এমওপি ও ডিএপিপি বেশি আছে। ইউরিয়া যেটুকু দরকার সেটাই আছে। তবে সামনে কি হবে সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

পৃথিবীর সব দেশে সারের দাম বাড়লেও বাংলাদেশে বাড়েনি দাবি করে তিনি বলেন, আজকে আমরা সংগ্রহের পরিমাণ সমান রেখে দাম ঠিক রেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এটাই মূল কথা। সার সংগ্রহ করতে এ বছর ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে।

এসময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য জহিরুল ইসলাম, কৃষি সচিব সাইদুল ইসলাম ও শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব, সার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।