ন্যাভিগেশন মেনু

হাতিয়াতে গৃহবধূ হত্যা, আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে


নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ আয়েশা আক্তার প্রিয়ার (২০) হত্যার ঘটনায় করা মামলার একমাস পেরিয়ে গেলেও আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো পুলিশের সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণে আসামিরা মামলার বাদী পক্ষকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বুধবার (১৮ নভেম্বর) নিহত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে গৃহবধূর মা-বাবা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, মামলার শুরু থেকেই ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী মজুমদারের সঙ্গে সখ্যতার কারণে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রতিপক্ষ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের তালবাহনায় মামলার বাদী ও তার পরিবার সঠিক বিচার পাবেন কিনা সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করছেন। একই সাথে মামলাটি অন্যদিকে ঘোরানোর পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন।

ন্যায় বিচারের আশায় ভুক্তভোগী পরিবার পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করেছেন এবং হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এ থানায় এসেছি মাসখানেক আগে। আসামি গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতেও আসামিদের ধরতে অভিযানে গিয়েছি কিন্তু পাইনি। তবে সহসাই আসামি ধরতে পারবে বলেও জানান তিনি।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর হাতিয়ার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের এক সন্তানের মা গৃহবধূ আয়েশা আক্তার প্রিয়াকে (২০) যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় ও স্বামী মো. ইদ্রিসের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় গত ২৩ অক্টোবর হাতিয়া থানায় নিহতের মা রাহেনা বেগম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী মো. ইদ্রিস, শশুর মো. কামাল উদ্দিন, শাশুড়ী, দেবর, ননদসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সিবি/এডিবি