ন্যাভিগেশন মেনু

হারিয়ে যাওয়া বউমাকে ফিরে পেতে কুসংস্কারে জিহ্বা কেটে ফেললেন শাশুড়ি


আমাদের  এ সমাজে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক মানে আদায়-কাঁচকলায় ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু হারিয়ে যাওয়া বউমাকে ফিরে পেতে এক শাশুড়ি যা করলেন, তা একপ্রকার অবিশ্বাস্য।

বউমাকে খুঁজে পেতে কুসংস্কারের বশে ঈশ্বরকে ‘খুশি’ করতে গিয়ে চরম পদক্ষেপ নিলেন সেই মহিলা। কেটে ফেললেন নিজের জিভখানিই।

এ কাণ্ড ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সেরাইকেলা-খারসাওয়ান জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন লক্ষ্মী নিরালা। গত ১৪ আগস্ট সন্ধে থেকে হঠাৎই নিজের বউমা জ্যোতি এবং তার সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। চারিদিকে খোঁজ নেন। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করেন।

কিন্তু কোথাও তাঁদের হদিশ মেলে না। এরপর শনিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন লক্ষ্মীদেবীর স্বামী ও ছেলে। কিন্তু তারপরও কেটে যায় ২৪ ঘণ্টা। তখনও তাদের খোঁজ না মেলায় শিব ঠাকুরকে ‘সন্তুষ্ট’  করতে ব্লেড দিয়ে নিজের জিভ কেটে ফেলেন তিনি!

গত রবিবার সন্ধেয় এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে কাতরাতে থাকলেও প্রথমে হাসপাতালে যেতে রাজি হননি লক্ষ্মীদেবী। পরে সম্মতি দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। যদিও কথা বলতে পারছেন না। লক্ষ্মী নিরালার স্বামী জানান, ঈশ্বরের কৃপা লাভ করতে তাঁর স্ত্রীকে স্থানীয় কেউ জিভ কাটার পরামর্শ দিয়েছিল। বলেছিল, ঈশ্বর জিভের বদলে বউমাকে ফিরিয়ে দেবে। সে কথা শুনেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন লক্ষ্মীদেবী।

তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও অন্ধবিশ্বাসের এমন অনেক ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছে। তান্ত্রিক কিংবা ধর্মগুরুর কথায় নিজেকে আঘাত করে ঈশ্বর সাধনার চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে অনেক ভক্তকে। এমনকী কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নিজের সন্তানকেও বলি দিতে পিছপা হয় না অনেকে।

এস এস