ন্যাভিগেশন মেনু

হারিয়ে যাচ্ছে দেশি চাঁদি ঠোঁট পাখি


দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে ‘দেশি চাঁদি ঠোঁট’ পাখি । পাখিটির ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিয়ান সিলভারবিল (Indian Silverbill)’ এবং বৈজ্ঞানিক নাম ‘লঙ্কুরা মালাবারিকা’ (Lonchura malabarica)।

এরা আবার  ‘ছোট মুনিয়া’ নামেও পরিচিত। এরা চড়ই আকৃতির পাখি। তাই অনেকেই চড়ই ভেবে থাকেন। বসবাসের জন্য এরা নিরাপদ জায়গা পছন্দ করে। মানুষের সমাগম দেখলে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে এক সময় এ পাখি প্রচুর দেখা যেত। তবে কাশবন, ছোট গুল্ম ও ঝোপ ঝাড় কমে যাওয়ায় দেশি চাঁদি ঠোঁট বা মুনিয়া পাখি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে।

এরা ধূসর ঠোঁট ও কালো লেজের পাখি। দেহের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ১২ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির সাদা কোমর, দেহের পেছনের অংশ, ডানাসহ পিঠ ফিকে ও মেটে বাদামি। লম্বা সুচালো লেজ কালো। দেহতল সাদাটে। ঠোঁট ত্রিকোণাকার ও ধূসরাভ। পা, পায়ের পাতা ও নখর ধূসরাভ-পাটল রঙের। ছেলে ও মেয়ে পাখির চেহারা অভিন্ন। কাশবন, বালুময় শণবন, নদী তীরের আবাদি জমি ও কাঁটা ঝোপে এরা বিচরণ করে। ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্যে এদের দেখতে পাওয়া যায়।

প্রকৃতিগতভাবে এরা মুনিয়ার সমগোত্রীয়। এ পাখি সচরাচর দলে থাকে। ভূমিতে, ঘাসবনে ও মেঠো পথে লাফিয়ে লাফিয়ে খাবার খোঁজে। খাদ্য তালিকায় রয়েছে বীজ ও ছোট পোকা। এরা কোনো কোনো সময় বাবুই পাখির পরিত্যক্ত বাসায় রাত কাটায়। প্রজনন সময় জুলাই থেকে ডিসেম্বর। কাঁটা ঝোপের দুই-তিন মিটার উঁচুতে ঘাস, পাতা, পালক, পশম ও তুলা দিয়ে বলের মতো বাসা বানায় এবং ডিম পাড়ে। ডিমের রং সাদা, সংখ্যায় চার থেকে আটটি। ছেলে ও মেয়ে পাখি দুজনই ডিমে তা দেয় এবং ছানা পালন করে। তবে খুব বেশি একটা দেখা যায় না এদের।

সিবি/ওআ