ন্যাভিগেশন মেনু

হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে মেঝেতে রোগীরা


নওগাঁর রাণীনগরে ডায়েরিয়া রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই আসছে ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগীরা। ডায়েরিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শয্যা স্বল্পতার কারণে মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বয়স্ক রোগীদের পাশাপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হঠাৎ করেই ডায়েরিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগের প্রাদুর্ভাব চরম আকারে দেখা দিয়েছে। যার কারণে ৫০ শয্যার হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়েই মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত এক মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত দুই শতাধিক ডায়েরিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। আরও শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।

ডায়েরিয়া রোগে আক্রান্ত আতাইকুলা গ্রামের রহিমা বিবি (৭০) জানান, ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু শয্যা না থাকার কারণে মেঝেতে শয্যা করে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিলকৃষ্ণপুর গ্রামের জব্বার আলী (৬৬) জানান, পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে এলে চিকিসক তাকে ভর্তি হওয়ার নির্দেশ দিলে ভর্তি হন কিন্তু শয্যা না থাকার কারণে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ওষুধের কোন সমস্যা নেই। হাসপাতাল থেকে যথেষ্ট ওষুধসহ অন্যান্য সেবা পর্যাপ্ত পরিমাণ দিচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্য রোগীর পাশাপাশি ডায়েরিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও সেবিকারা সব সময় রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। শিশুদের আলাদা কর্ণারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তবে সকলকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি পঁচা-বাসি ও নষ্ট হওয়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকাসহ শিশুদের ঠান্ডা না লাগানোর আহ্বান জানান তিনি। সেই সাথে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বি এ আর/ এস এ/ওআ