ন্যাভিগেশন মেনু

হেফাজতের কোটি কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য মিলেছে


বাংলাদেশে মোদি সফরবিরোধী আন্দোলনে নেমে দেশ বিদেশে দৃষ্টি কাড়ে হেফাজতে ইসলাম। তাদের সহিংসতায় ১৮ জন প্রাণ হারায়। কিন্তু এরমধ্যেও হেফাজতে নেতাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকা ১৯টি মাদরাসা ও এতিমখানার হিসাবে কোটি কোটি টাকা আয়ের তথ্য পেয়েছে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

এদের কোনো প্রতিষ্ঠান ১২-১৩ কোটি টাকাও আয় করেছে। দেশি বিদেশি বিভিন্ন উৎস থেকে জমা হয়েছে ওই টাকা।

গত এপ্রিলে হেফাজতে ইসলামকে ‘নৈতিক স্খলন’ ও ‘জঙ্গিবাদী’ কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত করে নিষিদ্ধের দাবি জানায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। আজ (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি সংগঠনটিকে স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মাধ্যমে হেফাজত নেতাদের ওইসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংক্রান্ত তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীসহ ৫০ শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং তাদের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট ১৯টি মাদরাসা ও এতিমখানার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে করেছে দুদক। এদের যে অর্থ বিদেশ থেকে আসে, সেগুলো ধর্মীয় লেবাসে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়।

কেননা অর্থনৈতিক অপরাধ সন্ত্রাসের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। আলেমরাও ধরাছোঁয়ার বাইরে বা আইনের ঊর্ধ্বে নন। অপরাধ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে দুদক।

অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে হেফাজতের ৫০ নেতা ও ১৯ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে এরই মধ্যে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। বিএফআইইউ দেশের সব দেশি বিদেশি ব্যাংক অনুসন্ধান করে ওইসব নেতার ও তাদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া টাকার তথ্য সংগ্রহ করে। 

পরে সেসব তথ্য দুদকের কাছে পাঠানো হয়। হেফাজতের ওই ১৯ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে থেকে অন্যান্য হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে নেতাদের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবেও প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে টাকা স্থানান্তর হতে পারে। সেসব তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ওই ৫০ নেতার ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে। কোন উৎস থেকে টাকাগুলো জমা হয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব কারাবন্দি মামুনুল হকের ব্যাংক হিসাবে ছয় কোটি টাকার লেনদেন, মানিলন্ডারিং ও নানা সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে। 

এস এস/এডিবি/