জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস ভিয়েতনামের হ্যানয় বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়।
জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভিয়েতনামের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মিজ লি থু হা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত গন্যমান্য অতিথিদের মধ্যে ভিয়েতনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা, ভারতের রাষ্ট্রদূত, শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূত, ডিপ্লোমেটিক কোরের সদস্যবৃন্দ, ভিয়েতনাম টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধি ও অন্যান্য মিডিয়া, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের পরিবারবর্গসহ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসাবে বিশেষ অতিথি ভিয়েতনাম জাতীয় সংসদের সদস্য লি থু হা এবং রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ-ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার”-এর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’-এর ভিয়েতনামী ভাষায় অনুবাদ সম্বলিত একটি পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।
আলোচনাপর্বে রাষ্ট্রদূত মিজ সামিনা নাজ আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন ।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ করে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও তাঁর পূর্ববর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমগ্র জাতি এক সূত্রে গ্রোথিত ।
যার ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রদূত বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালি জাতির নন-তিনি বিশে^র নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক।
তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও আদর্শ শিশুদের মাঝে উদীপ্ত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেমের কাছে তাঁর ’সোনার বাংলা’র স্বপ্ন বাস্তবায়নের বার্তা পৌঁছানো আমাদের সকলের দায়িত্ব।
স্বাধীন সাবভৌম বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’য় রূপান্তর করা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন।
এ স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গত ১২ বছরের অভূতপূর্ব সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে এগিয়ে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন।
এস এস