ন্যাভিগেশন মেনু

১৬ দিনে ধর্ষণ মামলার রায়, ধর্ষকের যাবজ্জীবন


বাগেরহাটের মোংলায় ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার কার্যক্রম মাত্র ১৬ দিনে সম্পন্ন হয়েছে। মামলার রায়ে একমাত্র আসামীর আব্দুল মান্নানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) মামলার চার্জ গঠনের এক সপ্তাহের মাথায় বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এই মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শোনেন বিচারক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘পিতৃহারা সাত বছর বয়সী ওই শিশু মোংলার মাকোড়ডোন গ্রামের ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় তার মামার কাছে থাকে। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে বিস্কুট খাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে একই এলাকার আব্দুল মান্নান। পরে মেয়েটির মামা জানতে পেরে ওই দিন রাতেই আব্দুল মান্নানকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই পুলিশ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে।’

গত ১১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোংলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিত মুখার্জ্জী।

এরপর ১২ অক্টোবর মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ১৩ অক্টোবর বাদীপক্ষের ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ১৪ অক্টোবর চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারী পুলিশ সদস্য এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

১৬ ও ১৭ অক্টোবর সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার (১৮ অক্টোবর) বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ করে সোমবার (১৯ অক্টোবর) রায়ের দিন ধার্য করেন বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম।

বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মাত্র সাত কার্যদিবসে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়াকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন নারী নেত্রী, আইনজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার এভাবে দ্রুত সম্পন্ন হলে ধর্ষণরোধে ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি রনজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা আছে, ধর্ষণের ঘটনায় আসামি ধরা পড়লে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যাবে। এ মামলাটি তারই প্রমাণ।’

এস/ ওয়াই এ/ এডিবি