ন্যাভিগেশন মেনু

২০০০ টাকার বেশি সেশন ফি নয়


বগুড়ায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০০০ টাকার বেশি সেশন ফি নিতে পারবে না। সেশন ফি ২ হাজার টাকার মধ্যে আদায় করতে স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলার শুকরা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর ও বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান আকন্দ।

মঙ্গলবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, বগুড়া জেলাসহ সারা দেশের কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বছরের শুরুতেই ভর্তির সময় সেশন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন-চার গুন অর্থ গ্রহণ করেছে।

যেখানে ’’নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় মফস্বল এলাকায় সেশন ফি ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১০০০ টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২০০০ (দুই হাজার) টাকার বেশি হবে না বলা হলেও কোন কোন স্কুল এই নিয়ম মানেছে না।

সেশন ফি বিষয়ে গত ২৮ জানুয়ারি প্রথমে বগুড়া জেলা প্রশাসক পরে হাইকোর্টে জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্টে আইনজীবি ছিলেন মোশারফ হোসেন মুনির। হাইকোর্ট তার বক্তব্যের সত্যতা ও আইনগত দিক বিবেচনা করে ২ জুলাই তদন্তের নিদের্শনা প্রদান করে। পরে বিষয়টি সঠিক থাকায় হাইকোর্ট এর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি জনাব খায়রুল আলম মহোদয়ের বেঞ্চ ১৭ ডিসেম্বর দায়ের করা রীট পিটিশনের পুর্নাঙ্গ রায় দিয়েছেন।

এই রায় মতে বগুড়া জেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০০০ (দুই হাজার) টাকা বেশী সেশন ফি গ্রহণ করতে পারবেন না। মহামান্য হাইকোর্টের নিদের্শনা মোতাবেক অতিরিক্ত সেশন ফি গ্রহণ করা আইনত অপরাধ।

অতিরিক্ত সেশন ফির টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত দিতে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইনত বাধ্য। সেশনফি বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের রীটপিটিশনের পূর্নঙ্গ রায় বিষয়ে জনসচেনতায় আগামী ২৮ ডিসেম্বর শনিবার সাতমাথার গোল চত্তরে বেলা ১১ টায় অবিভাবক সমাবেশ ও ২৯ ডিসেম্বর জেলা প্রসাশক, জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে সেশন ফি বিষয়টি নিয়ে বগুড়া জেলার সকল অভিভাবককে সাথে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, নাহারুল ইসলাম, শিশির মোস্তাফিজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলু প্রমুখ।

ওয়াই এ / এস এস