ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুদার ভাস্কর্য ভাংচুর


বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষ্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী। সরকারসহ প্রগতিশীল মনা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ভাষ্কর্য নির্মাণের পক্ষে অনড়।

এনিয়ে গত গত কয়েকদিন ধরে উভয় পক্ষ বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতি দিয়ে চলেছে। এরই মাঝে বাংলাদেশে স্বাধীনতা তথা ছাত্র আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনের সামনে স্থাপিত ‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্যে ভাংচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ভাস্কর্যটির একটি কান বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তা সংস্কার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও মধুর ক্যানটিনের কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, মধুদার ভাস্কর্যের অংশবিশেষ ভাঙার বিষয়টি নজরে আসার পর প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে জানানো হয়।

পরে প্রক্টরিয়াল টিমের কয়েকজন সদস্য এসে ভাস্কর্যে নতুন কান স্থাপন করেন। তবে প্রক্টরের ভাষ্য, মধুর ক্যানটিনের কর্মচারীরাই নতুন কান প্রতিস্থাপন করেছেন। মধুসূদন দে, যিনি ‘মধুদা’ নামেই বহুল পরিচিত, ছিলেন মধুর ক্যানটিনের প্রতিষ্ঠাতা। মধুদা সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে। মধুদার স্মৃতির স্মরণে তার নামেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থিত রেস্তোরাঁটির নামকরণ করা হয় ‘মধুর ক্যানটিন’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, এমন একটি তথ্য আমার কাছে এসেছে। মধুর ক্যানটিনের কর্মচারীরাই ভাস্কর্যটির কান প্রতিস্থাপন করেছেন। তবে ভাস্কর্যে আঘাতটি খেয়ালের বশে হয়েছে, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে, তা এখনো জানা যায়নি।

কারা, কী উদ্দেশে কাজটি করেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তা খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। কখন ভাস্কর্যটি ভাঙা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত সাড়ে দশটা-এগারোটা নাগাদ ভাঙা হতে পারে বলে ধারণা করছি। মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্যটি মধুর ক্যানটিনের সামনে থাকা গোলঘরের জানালার ঠিক পাশেই অবস্থিত।

তবে শুরুতে ভাস্কর্যটি ক্যানটিনের একটি দরজার সামনে স্থাপন করা হয়েছিল। ভাস্কর্যটির ভাস্কর তৌফিক হোসেন খান। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ ভাস্কর্যটির প্রথম উদ্বোধন করেন। বর্তমান অবস্থানে ভাস্কর্যটির পুনর্নির্মাণের পর ২০০১ সালে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী।

এস এস