ন্যাভিগেশন মেনু

২০ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ


জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) ভেজা ও ছেঁড়া বস্তাপঁচা সারের কারনে উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে ডিলাররা।

গত বুধবার থেকে সার উত্তোলন বন্ধের প্রভাবে ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ২০ জেলায় সার সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

যমুনা সার কারখানার বিক্রয় শাখা সূত্র জানায়, ‘কারখানায় বর্তমানে নিজস্ব উৎপাদিত ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে ৫২ হাজার ২৬০ মেট্রিকটন। অপরদিকে বাইরে থেকে আমদানি করা সারের মজুদ রয়েছে ৩৩ হাজার ৪৪৯ মে. টন। বিসিআইসি’র তালিকাভূক্ত ডিলারদের প্রতিমাসে কারখানার কমান্ড এরিয়ায় সরবরাহের জন্য ১২ মেট্রিকটন সার বরাদ্দ। এরমধ্যে যমুনা সার কারখানার উৎপাদিত সার ১০ মে. টন ও আমদানিকৃত ২ মে. টন সার গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে কর্তৃপক্ষ।’

এ বিষয়ে ডিলার চাঁন মিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মোজাম্মেল হক মুকুল ও মেসার্স এল কে এন্টারপ্রাইজের মালিক লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, ‘খোলা আকাশের নীচে ফেলে রাখা সার দীর্ঘদিন রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে গুণগতমান নষ্ট হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ পুণরায় সেগুলো রিফাইং ও রিপ্যাকিং করে ডিলারদের নিতে বাধ্য করে আসছে। সারগুলো জমিতে প্রয়োগের সময় পাউডার হয়ে উড়ে যায়। ফলে, ফসলের কোনো কাজেই আসে না। নিম্নমানের সার কৃষকরা গ্রহণ না করায় ডিলারদের প্রতিমাসে বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই এসব গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সুজিদ মজুমদারের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কারখানার ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) ওয়ায়েছুর রহমান জানান, ‘ডিলাররা পাঁচদিন ধরে সার গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। ডিলারদের সাথে আলোচনা করেছি। তাদের দাবিগুলো কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

এমআএম/এমআইআর/এডিবি