ন্যাভিগেশন মেনু

২০ দলীয় জোট ছাড়লো খেলাফত মজলিস


বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেল খেলাফত মজলিস।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন।

এর আগে দুপুরে দলটির কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দুই শতাধিক সদস্য নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে খেলাফত মজলিস।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী। একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকেরও অধিক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম ও জনগণের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। খেলাফত মজলিস মনে করে, এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন-পালন করার অধিকার আছে, যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিগত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসের শুরার অধিবেশনে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক জোট ইস্যুকেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। 

২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করা হয়। এমতাবস্থায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সক্রিয় স্বতন্ত্র, বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মওদুদ উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, আহমেদ আলি, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ছাড়াও দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সহ-সাংগঠনিকসহ জেলার নেতারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ৬ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ঐক্যজোটকে সঙ্গে নিয়ে ‘চারদলীয় জোট’ গঠন করেছিল বিএনপি। পরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বেরিয়ে গেলে যুক্ত হয় নাজিউর রহমান মঞ্জুর বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। পরে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নতুন ১২টি দলের সংযুক্তির মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা চারদলীয় জোট কলেবরে বেড়ে দাঁড়ায় ১৮-দলীয় জোটে। এর পর জোটের পরিধি বেড়ে দাঁড়ায় ২০ দলে।  তবে ২০-দলীয় জোট থেকে ইসলামী ঐক্যজোট, এনপিপি, ন্যাপ ও এনডিপি বেরিয়ে গেলেও একই নামে এসব দলের একাংশকে জোটে রেখে দেয় বিএনপি। জোট ছেড়ে যায় আন্দালিব রহমান পার্থের বিজেপিও। সর্বশেষ জমিয়ত বেরিয়ে গেলেও একই নামে আরেকটি অংশ রয়েছে জোটে।

এডিবি/