ন্যাভিগেশন মেনু

‘সচেতনতা বাড়িয়ে সীমান্ত হত‌্যা শূন‌্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব’


কূটনৈতিক আলোচনা ও সীমান্তবর্তী জনগণের মধ‌্যে সচেতনতা বাড়িয়ে সীমান্ত হত‌্যা শূন‌্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার পিলখানায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘সীমান্ত গৌরবে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো (সীমান্ত হত্যা) আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও পার্শ্ববর্তী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে এবং আমাদের ডিজি পর্যায়ের আলোচনায়ও এই বিষয় উঠে আসে।’

তিনি বলেন, ‘এখন কূটনৈতিকভাবে এবং আমরা, আমাদের দিক থেকে, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি যেন সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি যেন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন।’

সীমান্তের জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা-দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করতে পারি, তাহলেই মনে করি সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।’

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এ বছর বিজিবি দিবস পালন করা হচ্ছে না করোনার জন্য। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এই দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মহামারির এই পরিস্থিতিতেও আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আমরা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ইছামতি নদীর পাশের জেলেদের ১০০ নৌকা দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তিগত দিক থেকে পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। বিজিবিও তাল মিলিয়ে সময় উপযোগী করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজিবি সদস্যদের নতুন নতুন অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ করতে হবে।’

ওআ/