ন্যাভিগেশন মেনু

৩০ মিনিটেই মিলবে কভিড-১৯ পরীক্ষার ফলাফল




করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার জন বিশ্বের ১৩৩টি দেশে নতুন এক প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটে ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, 'নতুন, সহজে বহন ও ব্যবহারযোগ্য' এই পরীক্ষা কয়েকঘণ্টা অথবা কয়েকদিন নয়, ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে ফল সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে পারবে।

তিনি বলেছেন, পরীক্ষার ল্যাব খুব কম অথবা সহজে পৌঁছানো যায় না, সেসব অঞ্চলে পরীক্ষার ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সহায়তা করবে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা।

ডব্লিউএইচও বলছে, নতুন এই পরীক্ষা পদ্ধতি দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য করোনাভাইরাস মোকাবেলায় নাটকীয় পরিবর্তন এনে দেবে। তাদেরকে আরও অনেক সক্ষম করে তুলবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, এই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পাঁচ ডলার খরচ পড়বে। ছয়মাসে ১২০ মিলিয়ন পরীক্ষা হবে এই দেশগুলোতে এমন চুক্তি হয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

অনেকে দেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও তার ফল পেতে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় তাতে সেসব দেশ সংক্রমণ প্রতিরোধে পিছিয়ে যাচ্ছে। 

ভারত ও মেক্সিকোর মতো খুব বেশি সংক্রমণ রয়েছে এমন দেশগুলোতে নমুনা পরীক্ষার হার কম হওয়ার কারণে সংক্রমণের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

১২০ মিলিয়ন পরীক্ষা পদ্ধতি উৎপাদনে দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে সম্মতি দিয়েছে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাবট অ্যান্ড এসডি।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার রয়েছে এমন ১৩৩টি দেশকে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, এটি একধরনের 'অ্যান্টিজেন র‍্যাপিড টেস্ট'। এই পরীক্ষাতেও নাক বা গলা থেকে সোয়াব বা নমুনা সংগ্রহ করে দেখা হয়, সেখানে ভাইরাসের অস্তিত্ব আছে কিনা।

অ্যান্টিজেন হচ্ছে ভাইরাসের প্রোটিন, যা শরীরের ভেতর প্রবেশ করে কোষের প্রোটিন তৈরির পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে শুরু করে। শরীরের ভেতর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইটস প্রবেশ করলেই শরীর সেটাকে অ্যান্টিজেন হিসাবে গণ্য করে। কারও পরীক্ষায় অ্যান্টিজেন পাওয়া গেলে তিনি ভাইরাস আক্রান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়।

বাংলাদেশও অগাস্ট মাসের শেষের দিকে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এডিবি/