ন্যাভিগেশন মেনু

৪৭ হাজার গ্রামপুলিশের চাকরি জাতীয়করণে হাইকোর্টের রায় প্রকাশ


গ্রামপুলিশের ৪৭ হাজার সদস্যের চাকরি জাতীয়করণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের স্বাক্ষরের পর বাংলায় ১৮ পৃষ্ঠায় দেয়া এ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

রায়ে গ্রামপুলিশের মধ্যে মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেড এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ১৫ ও ১৭ ডিসেম্বর এ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ন কবির, মো. মোজম্মেল হক, মোহাম্মদ কাওসার, মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের ও নূর আলম সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইলিন ইমন সাহা, শায়রা ফিরোজ ও মাহফুজুর রহমান লিখন।

রায়ে বলা হয়, এটা স্পষ্ট যে, গ্রাম পুলিশ ও মহল্লদাররা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক নিয়োগ পেয়ে প্রজাতন্ত্রের ৭০ প্রকার কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকেন। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে নিকটতম আত্মীয়ের মতো প্রজাতন্ত্রের কর্মে তারা নিয়োজিত। ঝড়-বৃষ্টি, বিপদ-আপদ উপেক্ষা করে তারা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্য থাকেন। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার কাকে বলে এরা জানে না। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩১ মোতাবেক আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তিকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে তথা ন্যায্য প্রাপ্যতা থেকে তথা ন্যায্য প্রত্যাশা থেকে তথা আইনসম্মত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।

‘বর্তমান মোকাদ্দামায় দরখাস্তকারীগণসহ সকল মহল্লাদার ও দফাদারগণের ন্যায্য অধিকার বিধিমালা ২০১১ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি পাওয়া কিন্তু প্রতিপক্ষগণ স্পষ্টত: দরখাস্তকারীগণসহ সকল মহল্লাদার ও দফাদারগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বেআইনিভাবে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত করে আসছে।’

রায়ের আদেশ অংশে বলা হয়, ২০১১ সালের ২ জুন হতে মহল্লাদারগণকে জাতীয় বেতন স্কেল-২০০৯ (বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫) এর ২০তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি প্রদান করতে এবং দফাদারগণকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ (জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫)-এর ১৯তম গ্রেডে বেতন ভাতাদি প্রদান করতে প্রতিপক্ষগণকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

আদেশে বলা হয়, ২০১১ সালের ২ জুন তারিখের পর হতে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা-২০১১ বহির্ভূতভাবে মহল্লাদার ও দফাদার এর যেকোনো নিয়োগ অবৈধ ও বেআইনি মর্মে গণ্য হবে। উক্ত তারিখের পর হতে বিধিমালা ২০১১ বহির্ভূত যেকোনো নিয়োগ আপনা আপনি বাতিল।

২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়াসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্য রিটটি দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট। ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হলো।

এডিবি/