ন্যাভিগেশন মেনু

৪ অপহরণকারীকে হত্যা করে রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে রাখলো তালেবান


আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে চার সন্দেহভাজন অপহরণকারীকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ শহরের রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে রেখেছে তালেবান।

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ওয়াজির আহমাদ সিদ্দিকি নামে স্থানীয় এক দোকানদার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, চারটি মরদেহ মোড়ে আনা হয়, একটিকে সেখানে ক্রেনের সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং বাকি তিনটি মরদেহ প্রদর্শনের জন্য শহরের অন্যান্য মোড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তালেবানের কুখ্যাত সাবেক ধর্মীয় পুলিশ বাহিনীর প্রধান মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি, যিনি নতুন সরকারের অধীনে কারাগারের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানে মৃত্যুদণ্ড এবং অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তি আবার শুরু হবে। এসব শাস্তি 'নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয়' বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই হুঁশিয়ারি দেওয়ার একদিন পর এই ভয়াবহ প্রদর্শন ঘটলো।

স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে জিম্মি করার অভিযোগের পর বন্দুকযুদ্ধে ওই ব্যক্তিরা নিহত হয়।

হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মৌলভী শাইর বলেন, অপহরণের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্যই মরদেহগুলো এভাবে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে অপহরণের খবর পেয়ে তালেবান সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করে। পরে ওই ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে মুক্ত করা হয়।

সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, একটি পিকআপের পেছনে রক্তাক্ত দেহ দেখা যাচ্ছে যেখানে একজনের মরদেহ ক্রেনের সাথে ঝুলে আছে।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে একজন ব্যক্তিকে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর তার বুকে একটি সংকেতে লেখা হয়েছে, 'অপহরণকারীদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।'

গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তালেবানরা তাদের আগের শাসনামলের তুলনায় একটি কিছুটা নমনীয় শাসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইতোমধ্যে দেশজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনার উল্লেখ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার মোল্লা নূরুদ্দিন তুরাবি এপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ১৯৯০ এর দশকের তালেবান শাসনামলের মতো এই শাস্তিগুলো জনসমক্ষে কার্যকর করা হবে না। গোষ্ঠীটির আগের ৫ বছরের শাসনামলে কাবুলের স্পোর্টস স্টেডিয়ামে বা ঈদগাহ মসজিদের বিস্তীর্ণ মাঠে প্রায়ই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো।

এডিবি/