ন্যাভিগেশন মেনু

৫০০ বিড়াল নিয়ে নায়লার বসবাস,অতিষ্ট প্রতিবেশীরা


দেশের মডেলিং জগতের আলোচিত মডেল নায়লা নাঈম। খোলামেলা ছবি ও ভিডিও দিয়ে দেশ ও দেশের বাহিরেও সমানভাবে পরিচিত পেয়েছেন। তাকে ঘিরে মুখরোচক খবরের অভাব নেই। পর্দা কিংবা ব্যাক্তি দুই জীবন নিয়েই খবরের শিরোনামে আসেন তিনি। ফের তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।

তবে অবাক করার মতো একটি ঘটনা হলো নিজের বাসাতেই পাঁচ শতাধিক বিড়াল পালেন তিনি। আর বিড়ালের দুর্গন্ধে অতিষ্ট প্রতিবেশিরা।

শুধু তাই নয় এমন অবস্থার কারণে একজন প্রতিবেশি অভিযোগও করেছেন। আর এমন অভিযোগের কারণে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিড়াল সরিয়ে নেয়াও প্রতিশ্রতি দিয়েছেন নায়লা নাঈম।

রাজধানীর আফতাবনগরে বি-ব্লকের-২ নং রোডের একটি বিল্ডিং এর ৭ম তলার দুইটি ফ্লাট তার মালিকানায়। ওই ফ্লাটের একটিতে তিনি বিড়াল পালছেন। এছাড়া ভবনের নিচ তলায় তার একটি অফিস কক্ষ রয়েছে। অফিস কক্ষটি ডেন্টাল ডাক্তার হিসেবে নিজের চেম্বারের সাইনবোর্ড লাগান।

এর আগে নায়লা নাঈম খিঁলগাওয়ে ৪ বছর বসবাস করেছেন। সেখানে বিড়াল পালন নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। পরে সেখান থেকে বাসা স্থানান্তর করে আফতাব নগরে বসবাস শুরু করেন।

স্থানীয়রা বলেন, ৭ম তলার দুইটি ফ্লোরের একটি বিড়াল পালনের কাজেই ব্যবহার করেন নায়লা। এক ফ্ল্যাট থেকে অন্য ফ্ল্যাটের মধ্যে সংযোগ রয়েছে। তিনি নিজে যে ফ্ল্যাটে বসবাস করেন সেটিতে ৫০টির মতো বিড়াল রয়েছে। এসব বিড়ালের বিষ্ঠা লিফটে করে নামানো হয়। লিফটে বিড়ালও ওঠা-নামানো করান কর্মচারীরা। ফলে লিফট ও অন্যান্য ফ্লোরে ব্যাপক দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় চার বছর ধরে এই সমস্যা সইতে হচ্ছে প্রতিবেশীদের।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের দীর্ঘদিনের আপত্তি ও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে বাড্ডা থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেছে ফ্ল্যাট মালিক সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে বাড্ডা থানায় অভিযোগও দেয়া হয়।

মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি সুরাহা হচ্ছে। বিড়াল সরিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশের বাড্ডা জোনে উনি (নায়লা নাঈম) একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এজন্য এটা নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। আসা করছি এবার সমাধান হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ আজিজুর রহমান বলেন, নায়লা নাঈম নামে কারো বিড়াল বা কুকুর পালনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা নেই। তবে বাণিজ্যিকভাবে এভাবে কুকুর, বিড়াল বা এ জাতীয় প্রাণি পালন করতে হলে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ওআ/