ন্যাভিগেশন মেনু

৫ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয় মার্কিন নাগরিকত্ব পাচ্ছেন


জো বিডেনের (Joe Biden) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াটা আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। অন্তত পাঁচ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয় এবার স্থায়ীভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পেতে পারেন।

নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই এমন ইঙ্গিত দিয়েছে বিডেন শিবির। সেই সঙ্গে আমেরিকায় প্রতিবছর অন্তত ৯৫ হাজার উদ্বাস্তুকে জায়গা দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিডেন শিবিরের তরফে একটি পলিসি ডকুমেন্ট প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই মার্কিন কংগ্রেসে (US Congress) নতুন অভিবাসী সংশোধনী আইন পাশ করানোর কাজ শুরু করে দেবেন হবু প্রেসিডেন্ট।

যার লক্ষ্য হবে আমাদের অভিবাসন নীতির আধুনিকিকরণ এবং পরিবার ভিত্তিক নাগরিকত্ব প্রদান।

একই পরিবারের সদস্যদের একত্রিত রাখার লক্ষ্যে আমরা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ নথিহীন অভিবাসীকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। এর মধ্যে ৫ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়।

উল্লেখ্য, মার্কিন মুলুকে লক্ষ লক্ষ প্রবাসী ভারতীয়র বাস। এদের অনেকেই মার্কিন নাগরিকত্ব  পেয়েছেন এবং কয়েক পুরুষ আমেরিকায় বসবাস করছেন। বিডেনের এই নয়া সংশোধনী পাশ হলে এবার এই প্রবাসী ভারতীয়দের আত্মীয়রাও সহজেই মার্কিন নাগরিকত্ব পাবেন।

প্রসঙ্গত, মার্কিন নির্বাচনে বিডেনের রানিং মেট তথা হবু ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নিজেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশের সমর্থন গিয়েছে ডেমোক্র্যাট শিবিরেই।

স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতায় এসে আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়দের বড় উপহার দিতে চাইছেন বিডেন।

এদিকে, ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের পাশাপাশি সরাসরি ভারতের সঙ্গেও বিডেন সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন, এমনটাই আশা করছে নয়াদিল্লি।

খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সেই বার্তা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অভিনন্দন জো বিডেন।

ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক মজবুত করতে আপনার অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।”

একইসঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকেও (Kamala Harris) অভিনন্দন জানান মোদি। টুইটারে তিনি লেখেন, “ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনিদের জন্য আপনার সফলতা অত্যন্ত গর্বের। আপনার নেতৃত্ব ও সমর্থনে ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।”

এস এস