ন্যাভিগেশন মেনু

‘আম্পানের শক্তি নিয়ে সন্দেহ না রেখে সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে যান’


বঙ্গোপসাগরের ৪শ থেকে ৫শ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থানরত সুপার সাইক্লোনটি উপকূলে আঘাত হানবে আজ (২০ মে) বিকেলে। সাইক্লোন আম্পান পুরোপুরি আইলার কপি তাই এর শক্তি নিয়ে সন্দেহ না রেখে উপকূলবাসীকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।

বুধবার (২০ মে) তিনি এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আম্পানের আগমনে অযথা মহাবিপদ সংকেত দেয়া হয়নি, ডিমান্ড করেই বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে। আম্পানের কারণে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে আবারো বিপদ সংকেত বাড়ানো হয়েছে।’

আগের ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রোদ উঠেছে বলে বিপদ কম মনে করার সুযোগ নেই, ঝড়টি সব মেঘ নিজের কাছে টেনে নেওয়ায় এমনটা হচ্ছে। তবে এর প্রভাব থাকবে ২২-২৩ তারিখ পর্যন্ত।’

বুধবার আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত আম্পানের ৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ’আম্পান’ উত্তর-উত্তরপূবর্  দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২ টায় (২০ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিঃ মিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩২০ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ২০ মে ২০২০ বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিঃ মিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।এ অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। 

ওয়াই এ/ এডিবি