ন্যাভিগেশন মেনু

‘উঠো বিহারী, করো তৈয়ারি’ভোটের স্লোগান লালুর


বিহারের জনপ্রিয় নেতা রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব এক সময় গর্ব করে বলেছিলেন ‘য্যায়সা দিন সিঙ্গাড়া মে আলু রহগো, অভি দিন বিহার মে লালু রহেগা।’ আস্থার সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন বিহারের (Bihar) শাসনক্ষমতায় ছিলেন।

বিহারের নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হতে চলেছে ভোট (Lalu Yadav)। এই অবস্থায় রাঁচির জেলে বন্দি রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad  Yadav) বাজিয়ে দিলেন ভোটের দামামা। পাঁচ লাইনের একটি কবিতা টুইট করে তিনি দাবি করেছেন, এবারের ভোটে পরিবর্তন আসবে বিহারে।

তিনি লেখেন, ‘‘উঠো বিহারী, করো তৈয়ারি/ জনতা কা শাসন আব কি বারি/ বিহার বদলাভ হোগা/ আফসার রাজ খতম হোগা/ আব জনতা কা রাজ হোগা।’

মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে যে সরকার চলছে, তা সরিয়ে ‘মানুষের সরকার’ প্রতিষ্ঠার স্লোগান তুলে বর্তমান সরকারকে ‘অমানবিক’ বলতে চেয়েছেন লালু।

২০১৫ সালে বিহারে সরকার গড়েছিল লালু-নীতীশ জোট। একক বৃহত্তম দল হিসেবে জিতেও নীতীশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়াতে মত দেন লালু। কিন্তু পরবর্তী বছর দেড়েকের মধ্যে সরকার থেকে বেরিয়ে আসতে চান নীতীশ। এরপর বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাতে থাকেন।

এবারের ভোটে লালুর প্রচারে থাকা হবে না। কারাবন্দি অবস্থাতেও তাই দলকে উজ্জীবিত করতে স্লোগান তুলে দিলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। হয়তো সোশ্যাল মিডিয়াকে আশ্রয় করে আগামী কয়েক সপ্তাহ এভাবেই ভোটের প্রচার করে যাবেন তিনি।

তবে এবারের নির্বাচনে আরজেডির প্রচারের মুখ করে নেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ‘তরুণ তুর্কি’ তেজস্বী যাদবকে। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলের সাজাপ্রাপ্ত লালুপ্রসাদ যাদবকে আপাতত ‘বোঝা’ মনে করেই একপাশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। কারণ লালুকে মুখ করলে ফের দুর্নীতি ইস্যুতে জেডিইউ’র হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা দলের।

আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এবারের নির্বাচন চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। মোট তিন দফায় ভোট হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১০ নভেম্বর।

স এস