ন্যাভিগেশন মেনু

‘করোনামুক্ত রোগীর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম’


করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পর দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। এমনকি সুস্থ হওয়া রোগী যদি পরে কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন, তা হলেও তার মধ্যে রোগের উপসর্গ খুব সামান্য পরিমাণেই দেখা যাবে। এমনটাই জানালেন ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এমস)’এর অধিকর্তা রণদীপ গুলারিয়া। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

রণদীপ গুলারিয়া বলেন, করোনামুক্ত রোগীর দেহে কিছু কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়। আর এই অ্যান্টিবডি সুস্থ হয়ে উঠা রোগীকে ফের সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। রণদীপ আরও বলেন, প্রথম বার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে সেরে ওঠার সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্যান্টিবডি গড়ে ওঠে রোগীর রক্তে। সেই অ্যান্টিবডিগুলিই রোগীর দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলে রোগী দ্বিতীয় বার সংক্রমণ রুখতে পারে। তবে দেহের এই প্রতিরোধ ক্ষমতার মেয়াদ কতটা সে সম্পর্কে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হতে পারেননি সে কথাও স্বীকার করেছেন এমস-এর এই অধিকর্তা।

চিনে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত একাধিক বানরের শরীরের আবার একই ধরনের ভাইরাস প্রবেশ করানো হয়। এরপর দেখা যায় যে তারা দ্বিতীয়বারের মতো কেউ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়নি।

কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কভিড-১৯ রোগ দ্বিতীয়বার হওয়ার আশঙ্কা নেই। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক মার্টিন হিবার্ড বলেছেন, যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমাদের আরও প্রমাণের প্রয়োজন আছে। তবে বিভিন্ন ডেটা পর্যালোচনা করে এখন এটা বলা যায় যে , সারস-সিওভি-২ তে কারও দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই সারস-সিওভি-২, কভিড-১৯ এর আর একটি নাম।

ওআ/